পার্কে ঘুরতে আসা এক পর্যটক পার্থপ্রতিম দে জানান, “দীর্ঘ সময়ের পুরনো রাজ আমলের এই পার্ক বহু পর্যটককে আকর্ষণ করে। জেলার এই পার্কে প্রবেশ করতে কোন টিকিট লাগে না। দীর্ঘ সময় ধরে এই পার্কের অনেকটাই বেহাল দশা। বর্তমান সময়ে পার্কের গেট পর্যন্ত খোলা হয় না সঠিক ভাবে।” স্বাভাবিকভাবেই এই পার্কে ঢুকতে লাগে ঠিকঠাক ভাগ্যের চমক। আর তা নাহলে হয়ত ঢোকার জন্য তীর্থের কাকের মত দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। পার্কে আসা আরেক পর্যটক দেবলীনা সরকার জানান, “পার্কে আসা পর্যটকদের পেছন দিকের একটি অংশ দিয়ে কোনও রকমে প্রবেশ করতে হয় পার্কে। পার্কের অবস্থা ভাল থাকলে আরও বহু মানুষ শীতের দিনে এখানে ভিড় জমাতেন।”
advertisement
আরও পড়ুন: সংস্কারের চাপে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্য! প্রশ্নচিহ্নের মুখে সাগরদিঘির নবরূপায়ণ
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা তুলি রায় জানান, “নদীর ধারে এমন সুন্দর একটি পার্কে শীতের দিনে বহু মানুষ ঘুরতে আসতে চান। তবে প্রশাসনিক ভাবে এই পার্ক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।” উদ্যান কানন বিভাগের রেঞ্জার অভিজিৎ নাগ জানান, “পার্কের চত্বরের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু করা হবে। পর্যটকদের জন্য আবারও সময় মতন খোলা হবে পার্কের গেট।” দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল ধারা জানান, “দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের অধীনে থাকা স্মৃতি সৌধ ও কেশব আশ্রমের ঘরটি দ্রুত সংস্কার করার ব্যবস্থা করা হবে।”
যদিও দীর্ঘ সময়ের সরকারি টানাপোড়নের চাপে পড়ে রাজ আমলের এই পার্ক ধীরে ধীরে নিজের পুরনো জৌলুস হারাচ্ছে। আগামীদিনে এই পার্কে পর্যটক আদৌ বেড়াতে আসতে পারবেন কিনা সেই বিষয় নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। যদিও পার্কের দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়ে স্থানীয় মানুষেরা আবেদন জানিয়েছেন প্রশাসনিক স্তরের কর্তাদের। এখন দেখার বিষয় এটাই যে আদতে কত দিনে এই পার্কের সংস্কার সম্ভব হয়।
Sarthak Pandit





