জেলার এক পরিবেশ প্রেমী সুমন্ত সাহা জানান, “জেলার হেরিটেজ তালিকাভুক্ত হওয়া সত্বেও এই দীঘির একেবারে বেহাল দশা। দীঘির চারটি ঘাটের মধ্যে একটি ঘাটের একেবারেই বেহাল দশা। বাকি ঘাটগুলির পাশেও নোংরা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়ে ছিল। তবে এখন দীঘির ঘাট ও চারিধারে দেওয়াল সংস্কার করা হচ্ছে। আর এর মাঝেই দীঘির জলে বেশকিছু মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখা গিয়েছে। ফলে মনে করা হচ্ছে জলে দূষণ কিংবা বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে আবর্জনা থেকে। তাই দ্রুত এই দীঘির জল পরীক্ষা করে দেখা উচিত।”
advertisement
আরও পড়ুন: ভোগান্তির শেষ নেই! অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পই এখন যেন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দিনহাটায়
জেলার এক হেরিটেজ প্রেমী সুবীর সরকার জানান, “জেলার বেশিরভাগ হেরিটেজ দীঘির বেহাল দশা। এই দীঘিটিও সেই ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত। এলাকার স্থানীয় মানুষেরা ও শহরের বহু নাগরিক নোংরা-আবর্জনা ফেলেন এই দীঘির মধ্যে। এর ফলেই দীঘিটির জলের মধ্যে হয়তো দূষণ দেখা দিয়েছে। হেরিটেজ কমিটির বিষয়টি নিয়ে দ্রুত জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়া উচিত এবং জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।” যদিও এই বিষয় নিয়ে হেরিটেজ কমিটির বেশিরভাগ সদস্যরা জানান, “জেলা শাসককে বিষয়টি জানানো হবে। যাতে জেলা শাসক দ্রুত জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই দীঘির জলে মারাত্বক দূষণ ও বিষক্রিয়া হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এমনটাই মতামত বেশিরভাগ পরিবেশপ্রেমীর। বর্তমানে এই দীঘির জল পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপর বোঝা সম্ভব হবে যে কতটা দূষণ রয়েছে এই দীঘির জলে। এরপর সেটিকে নির্মূল করার ব্যবস্থা করতে হবে। নাহলে অদূর ভবিষ্যতে এই দীঘির জলের জীব বৈচিত্র ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
Sarthak Pandit





