বাবা- মা এবং দুই ভাইয়ের জীবনযাপন কোনওভাবে চলছিল। হঠাৎ বাবার মৃত্যুতে নেমে আসে নিকষ কালো অন্ধকার। রয়ে যান মা, দুই সন্তান, যাদের বয়স ১৮ এবং ১৪ বছর। নাম চন্দন চৌহান এবং বিশাল চৌহান । আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়েই চলছে তাদের কোনও ভাবে বেঁচে থাকা। মাসিক উপার্জন বলতে মাসে মাত্র হাজার টাকা। এ দিয়ে কি আর হয়? নুন আনতে পান্তা ফুরোচ্ছে মা'র। চোখের জল ভাতে পড়ে প্রতিনিয়ত। কিন্তু কিছুই যে করার নেই। লড়ে যেতে হবে এভাবেই।
advertisement
আরও পড়ুন : নিজে হাতে সাজিয়ে বিদায় জানিয়েছেন ছোটবোনকে, ঐন্দ্রিলার স্মৃতিতে ডুবে আজ ঐশ্বর্য
তবে এই লড়াইয়ে সঙ্গ দিয়েছেন বাস্তবের হিরো শান্তনু শর্মা। কথায় আছে "মানুষ মানুষেরই জন্য" সত্যিই মানবিকতা এখনও হারিয়ে যায়নি। সবাই তাকে চেনে অক্সিজেন দম্পতি হিসেবে, যে করোনাকালীন সময়ে শহরের বাচ্চাদের বাইকে করে অনবরত অক্সিজেন সিলিন্ডার সাপ্লাই দিয়েছিলেন। ইনি সেই এই শান্তনু শর্মা। এগিয়ে এলেন তিনিই দেবতার দূত হয়ে। শ্রীমতি চৌহান জানান, "অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে চলছে জীবনযাপন। আমার দুই ছেলেই বিশেষ প্রতিবন্ধী। গত কয়েক বছর ধরে শান্তনু শর্মা নামে এক দাদা অনেকটা সাহায্য করেছে। আমাদের আর্থিকভাবে খাদ্য বস্ত্র, চাল, ডাল সমস্ত কিছু সাহায্য করতেন তিনি। তবে কোনদিনই প্রকাশ্যে আসেননি। ধন্যবাদ জানাই তাঁকে।"
আরও পড়ুন : এক 'Whatsapp'-এ মিলবে শাক-সব্জি মাছ থেকে মুর্শিদাবাদের ছানাবড়া! জেনে নিন নম্বর...
পাশাপাশি আক্ষেপও ভেসে আসে তাঁর কন্ঠে। তিনি জানান, সরকার থেকে মেলে না কোনও সাহায্য। ভোট আসলে ভোট চায় কিন্তু তাদের কোনও সুরাহা হয় না। কখনও একটু চিড়া-গুড় মেলে ব্যস, সরকারি অনুদান বলতে এইটুকুই। দুই অসহায় শিশুর মা একটু সাহায্যের জন্য বারংবার ছুটে গিয়েছেন এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে। কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি। মিলেছে শুধুই আশ্বাসবাণী। প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন পরিবার।
সেখানকার উপ প্রধানকে সুভাষ চন্দকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি আপনাদের কাছ থেকে জানলাম। আমরা পুরো বিষয়টিকে দেখে যতটুকু সম্ভব সেটুকু সাহায্য আমরা করব।"
সুরজিৎ দে