জলের সমস্যা মেটাতে প্রতিশ্রুতিই সার! নজর নেই কারওরই বলে অভিযোগ পাহাড়ের বাসিন্দাদের। আগে কাকঝোরা থেকে নিয়মিত জল সরবরাহ হত। সেই ঝোরা শুকিয়ে যাওয়ায় বিপত্তি। পরবর্তীতে প্রয়াত সুভাষ ঘিসিং এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আলোচনায় বালাসন জল প্রকল্প চালু করা হয়। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। অধিকাংশ সময়ই পানীয় জল পায় না পাহাড়ের বাসিন্দারা!
advertisement
পুরসভা জল সরবরাহে ব্যর্থ, বলছেন বাসিন্দারা। অগত্যা তাঁরা ছুটে যান কিলোমিটারের পর কিলোমিটার দূরের কোনও এক ঝোরায়! পুরসভার জল সরবরাহের নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই বলেও অভিযোগ।শুধু কি স্থানীয়রা? জল কষ্টে ভুগতে হয় পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদেরও। বিশেষ করে গরমকালে। তীব্র জল সংকট তৈরি হয়। নামীদামি হোটেলে জল মিললেও অধিকাংশ হোটেলেই মেলে না জল। বাইরে থেকে বেশি দামে জলের বোতল কিনে আনতে হয়। ভরসা বলতে পানিওয়ালা-রা! এবারের GTA বোর্ড কি তা মেটাতে পারবে? অনীত জানিয়েছেন, তাঁর প্রথম কাজই হবে আধিকারিক, ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে বসে জল সমস্যার সমাধানে একটা পরিকল্পনা সেরে নেওয়া।
আরও পড়ুন: ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, বাংলার আবহাওয়ায় বিপুল বদল! বৃষ্টি নিয়ে বড় বার্তা হাওয়া অফিসের
অনীত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছেন, তাঁর পূর্বসূরীদের মতো সংঘাতের পথে হাঁটতে চান না তিনি । এই সংঘাত পাহাড়কে ২০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে । বরং তাঁর লক্ষ্য উন্নয়ন৷ তাই সরকারের সঙ্গে থেকেই উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি ।তিনি বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছর পাহাড়ের পরিস্থিতি অনেক বদল হয়েছে । যখন থেকে আমাদের হাতে পাহাড়ের নেতৃত্ব এসেছে, তখন থেকে কোনও বনধ হয়নি পাহাড়ে । শান্তি ফিরে এসেছে পাহাড়ে । নির্বাচনেও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি । তবে জিটিএতে এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ, স্কুল সার্ভিস কমিশন কিছুই নেই । সেগুলি করতে হবে । পাহাড়ে পর্যটন বেড়েছে । এটা ভালো দিক । কর্মীর সংখ্যা খুব কম । তা বাড়াতে হবে ।’’