মানিপ্লান্ট, নারকেল, সুপারি, বকুল, টগর-সহ মোট ২৫ প্রজাতির ফুল, ফল আর বনজ গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে গোটা মণ্ডপ। দেবী দুর্গার প্রতিমা থেকে শুরু করে প্রবেশপথ – সব জায়গাতেই যেন ফুটে উঠেছে প্রকৃতির শ্বাস।
advertisement
পুজো কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘বিশ্ব উষ্ণায়ন রুখতে এখন একটাই উপায় গাছ লাগানো। এই বার্তাই আমরা আমাদের পুজোর মাধ্যমে পৌঁছে দিতে চাই। উত্তরবঙ্গের গরম, দিনেরবেলা হাঁসফাঁস করা মানুষের কষ্ট থেকে শুরু করে পরিবেশের ক্রমশ পরিবর্তিত রূপ সবটাই যে প্রকৃতির প্রতি মানুষের অবহেলার ফল, তা বোঝাতেই এই উদ্যোগ’।
আরও পড়ুনঃ আর দিল্লি ছুটতে হবে না, বহরমপুরেই লোটাস টেম্পল! জলের উপর রঙিন আলোর খেলা, কমল দর্শনে জনজোয়ার
এবছর শরৎকালেও কার্যত গরমে নাজেহাল দশা জলপাইগুড়ি বাসির। প্রকৃতির বিভিন্ন রূপ বিশ্ব উষ্ণায়নের একটি ফল। সে কারণেই ক্লাব কর্তৃপক্ষের এ হেন উদ্যোগ। দর্শনার্থীদেরও চোখে পড়ছে এক অন্য ছবি। কৃত্রিম সাজসজ্জার জাঁকজমকের বাইরে, গাছপালার ছায়া আর ফুলের সুগন্ধে তৈরি হয়েছে এক স্বস্তির আবহ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ‘এমন সবুজ মণ্ডপে ঢুকলেই যেন মনটা জুড়িয়ে যায়। শুধু পুজো নয়, সারা বছরই আমাদের চারপাশে যদি এত গাছ থাকত, তবে পরিবেশটাও অন্যরকম হতো’। রায়কত পাড়ার এ বছরের এই সবুজ বার্তা নিঃসন্দেহে ভাবাবে বহু মানুষকে। কারণ শারদোৎসব শুধু আনন্দের উৎসব নয়, সমাজকে নতুন পথ দেখানোর এক বিরল সুযোগও বটে!