পরিত্যক্ত অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি পড়ে থাকার ফলে স্কুলের জমি দখল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। বালুরঘাট পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের একাধিক জায়গায় এমনই চিত্র। কোথাও পুরসভার কমিউনিটি হল, কোথাও শৌচাগার, আবার কোথাও স্থানীয় বাসিন্দাদের দখলে চলে যাচ্ছে এই জমি। প্রশাসনের উদাসীনতায় বিষয়টি নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
advertisement
বালুরঘাট শহরের গৌরী রানী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুকান্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাইকেল স্কুল, বংগী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর জমি ক্রমেই সংকুচিত হয়ে পড়ছে। এবিষয়ে অভিভাবকদের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধীরে ধীরে এই জমিগুলি অন্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, কিন্তু শিক্ষা দফতরের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন তেমনভাবে এই গুরুতর বিষয়টি নিয়ে তেমনভাবে দেখাচ্ছে না।
এই বিষয়ে ডিপিএসসির চেয়ারম্যান সন্তোষ হাসদা জানান, “বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। মূলত এই সমস্ত স্কুলগুলো দান করা জায়গা। তবে স্কুলের জায়গায় কে বা কাহারা এ সমস্ত বিল্ডিং তৈরি করেছে তদন্ত করে খুব শীঘ্রই তারপরে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি নতুনভাবে কিছু করা যায় কিনা সেই বিষয়েও আলোচনা করা হবে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমিতে সরকারি প্রকল্পের নির্মাণ হলে শিশুদের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হবে। শিক্ষার জন্য নির্ধারিত জমি এভাবে হারিয়ে গেলে ভবিষ্যতে বিদ্যালয়ের সম্প্রসারণও সম্ভব হবে না। পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবত স্কুলগুলি বন্ধ হয়ে থাকার ফলে স্কুল বিল্ডিং এর ভেতরে চলছে নেশার আসর। অসামাজিক কাজকর্ম হবার ফলে নষ্ট হচ্ছে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দ্রুত স্কুলের জায়গা বেদখল হওয়ার হাত থেকে বাঁচাক প্রশাসন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ফিরিয়ে আনুক এলাকার। কারণ ভাঙাচোরা এই ঘরে সমাজবিরোধী ও নেশাখোরদের যাতায়াত বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
সুস্মিতা গোস্বামী





