গোরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডি এফ ও দ্বিজপ্রতীম সেন জানিয়েছেন, বর্তমানে উদ্যানে ২৭টি স্ত্রী ও ১৭টি পুরুষ গন্ডার রয়েছে। বাকি ১৭টি গন্ডারের লিঙ্গ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গরুমারায় গন্ডারের বংশবৃদ্ধির প্রধান কারণ হল উদ্যানের উপযুক্ত পরিবেশ ও প্রশাসনের কড়া নজরদারি। প্রতি ১.৫৯টি স্ত্রী গন্ডারের পিছু ১টি পুরুষ গন্ডারের উপস্থিতি গন্ডারের প্রজননের পক্ষে অত্যন্ত ভাল বলে জানিয়েছেন বনাধিকারিকেরা। এর ফলে ভবিষ্যতে আরও গন্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশা করছেন বনদফতরের আধিকারিকরা।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
এই সাফল্যের নেপথ্যে বনদফতর, প্রশাসন ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগ রয়েছে। ২০১৮ সালের পর থেকে গরুমারায় বন্যপ্রাণ পাচারের কোনও ঘটনা ঘটেনি, যা এক ঐতিহাসিক রেকর্ড। বনদফতরের কঠোর নজরদারি এবং সচেতনতার কারণে পাচারকারীরা কার্যত হার মেনেছে! বাড়ছে গভীর জঙ্গলের সৌন্দর্য!
ডুয়ার্সের অন্যতম আকর্ষণ গরুমারা জাতীয় উদ্যান, যেখানে গন্ডারের পাশাপাশি হাতি, বাইসন, হরিণসহ নানা বন্যপ্রাণীর বাস। গন্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি শুধুমাত্র প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষাই নয়, পর্যটন শিল্পের জন্যও অত্যন্ত ইতিবাচক। আগামী দিনে এই প্রবণতা বজায় থাকলে গরুমারা জাতীয় উদ্যান ভারতের অন্যতম সফল সংরক্ষিত অভয়ারণ্যে পরিণত হবে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সুরজিৎ দে