মাঝেমধ্যেই হাতির পাল বসতিপাড়া বা ধানক্ষেতে ঢুকে পড়ছে। কখনও আবার লেপার্ড বা অন্য বন্যপ্রাণীর হানা। ফসল নষ্ট, ঘরবাড়ি ভাঙচোরা এবং তার থেকেও ভয়ঙ্কর প্রাণহানি। পরিবারের একজন সদস্য হারালে ভেঙে পড়ে গোটা সংসার। এই পরিস্থিতিতে বন দফতর কীভাবে সাহায্যের হাত বাড়ায়, তা জানালেন অতিরিক্ত বনকর্তা।
আরও পড়ুন: দিঘা জগন্নাথ ধামে নজরকাড়া দেব দীপাবলি, ১০ হাজার প্রদীপে আলোকিত হয়ে উঠল মন্দির
advertisement
তিনি জানান, বন্যপ্রাণীর আক্রমণে আহত বা নিহত হলে সরকার নির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রেখেছে। মৃত্যুর ক্ষেত্রে, পরিবার প্রথম পর্যায়ে পায় ২০,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা। পঞ্চায়েত প্রধানের সার্টিফিকেট, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও পরিচয়পত্র জমা দিলেই এই সাহায্য পাওয়া যায়। এরপর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট জমা দিলে মোট পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়। অঙ্গহানির ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি পান এক লক্ষ টাকা। গুরুতর আহত হলে মেলে ৫০ হাজার টাকা এবং সামান্য আহত হলে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা। এছাড়াও চিকিৎসার খরচ বহন করে বন দফতর।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অন্যদিকে চাষের জমি, ফসল, বা ঘরবাড়ি নষ্ট হলে পঞ্চায়েতের সার্টিফিকেট, জমির কাগজ ও বন দফতরের আবেদনপত্র জমা দিলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রয়েছে। কেউ নিজে গিয়ে আবেদন করতে না পারলে, বনকর্মীদের পক্ষ থেকেই নথি সংগ্রহ করে ব্যবস্থা করা হয়। বনকর্তার বার্তা, ‘আতঙ্ক নয়, সতর্ক থাকুন। আমরা পাশে আছি।’ বনবস্তির মানুষেরও সেই আশা, সরকার ও বন দফতর পাশে থাকলে বাঁচবে জীবন, টিকবে ঘর!





