TRENDING:

বন্যপ্রাণীর হানায় ক্ষতি হলে পাশে থাকবে বন দফতর! আহত, প্রাণহানিতে দেবে লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ, জানালেন বনকর্তা

Last Updated:

ডুয়ার্সের জঙ্গল লাগোয়া বনবস্তিতে বন্যপ্রাণীর আতঙ্ক অব্যাহত। হাতি, চিতা, ও অন্যান্য প্রাণীর হামলায় ক্ষয়ক্ষতি নিয়মিত। তবে বন দফতর জানিয়েছে, আহত বা নিহতদের পরিবার পাবে সরকারি ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসা সহায়তা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
জলপাইগুড়ি, সুরজিৎ দে: বন্যপ্রাণীর কবলে পড়লে পাশে থাকবে বন দফতর! জঙ্গল লাগোয়া বনবস্তিতে রয়েছে বন্যপ্রাণের আতঙ্ক, তবুও ভরসার হাত প্রশাসনের! ডুয়ার্সের জঙ্গল লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে রয়েছে বহু বনবসতি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এখানকার মানুষ জঙ্গলকেই আয় ও জীবিকার উৎস হিসেবে দেখেছেন। কিন্তু সেই জঙ্গলই যেন ভয়ের আরেক নাম।
advertisement

মাঝেমধ্যেই হাতির পাল বসতিপাড়া বা ধানক্ষেতে ঢুকে পড়ছে। কখনও আবার লেপার্ড বা অন্য বন্যপ্রাণীর হানা। ফসল নষ্ট, ঘরবাড়ি ভাঙচোরা এবং তার থেকেও ভয়ঙ্কর প্রাণহানি। পরিবারের একজন সদস্য হারালে ভেঙে পড়ে গোটা সংসার। এই পরিস্থিতিতে বন দফতর কীভাবে সাহায্যের হাত বাড়ায়, তা জানালেন অতিরিক্ত বনকর্তা।

আরও পড়ুন: দিঘা জগন্নাথ ধামে নজরকাড়া দেব দীপাবলি, ১০ হাজার প্রদীপে আলোকিত হয়ে উঠল মন্দির

advertisement

তিনি জানান, বন্যপ্রাণীর আক্রমণে আহত বা নিহত হলে সরকার নির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রেখেছে। মৃত্যুর ক্ষেত্রে, পরিবার প্রথম পর্যায়ে পায় ২০,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা। পঞ্চায়েত প্রধানের সার্টিফিকেট, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও পরিচয়পত্র জমা দিলেই এই সাহায্য পাওয়া যায়। এরপর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট জমা দিলে মোট পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়। অঙ্গহানির ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি পান এক লক্ষ টাকা। গুরুতর আহত হলে মেলে ৫০ হাজার টাকা এবং সামান্য আহত হলে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা। এছাড়াও চিকিৎসার খরচ বহন করে বন দফতর।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
রাস উপলক্ষে ম্যারাথন দৌড়ের আয়োজন হল পুরুলিয়ায়! প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো
আরও দেখুন

অন্যদিকে চাষের জমি, ফসল, বা ঘরবাড়ি নষ্ট হলে পঞ্চায়েতের সার্টিফিকেট, জমির কাগজ ও বন দফতরের আবেদনপত্র জমা দিলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রয়েছে। কেউ নিজে গিয়ে আবেদন করতে না পারলে, বনকর্মীদের পক্ষ থেকেই নথি সংগ্রহ করে ব্যবস্থা করা হয়। বনকর্তার বার্তা, ‘আতঙ্ক নয়, সতর্ক থাকুন। আমরা পাশে আছি।’ বনবস্তির মানুষেরও সেই আশা, সরকার ও বন দফতর পাশে থাকলে বাঁচবে জীবন, টিকবে ঘর!

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
বন্যপ্রাণীর হানায় ক্ষতি হলে পাশে থাকবে বন দফতর! আহত, প্রাণহানিতে দেবে লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ, জানালেন বনকর্তা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল