নানা প্রজাতির সেই পাখিগুলির সহজেই দেখা মিলছে। তাই পরীযায়ী পাখিদের খোঁজেই এবারে সমীক্ষা ও গণনা শুরু করল বনদফতর। বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীর ড্যাম থেকে একেবারে নদীর তীরবর্তী ডাঙ্গি ফরেস্ট, বালুরঘাটের ফরেস্টগুলি থেকে শুরু করে তপনের গুড়াইল ফরেস্ট নানা জায়গায় ওই টিমগুলি ঘুরতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। যেখানে পারপেল, সাম্পইন, লংটেল জাকানা, মুরহেন, ব্ল্যাকইট, লেসার হুইন্সেলিং ডাক, ব্রামিনীকাইট, প্লেনপিনিয়া, ব্রোঞ্জটেইল জাকানা মিলিয়ে অন্তত ৮০ প্রজাতির পাখির দেখা মিলেছে বালুরঘাট-সহ তার আশেপাশের এলাকায়। বিরল প্রজাতির এই পরিযায়ী পাখিগুলির আনাগোনা জানান দেয় ঋতু পরিবর্তনের সময়সূচীর।
advertisement
আরও পড়ুন- বাসে চড়ে কোচবিহার থেকে জলপাইগুড়ি যাচ্ছিলেন! পুলিশ ধরতেই যা জানা গেল…
এবিষয়ে পক্ষী বিশেষজ্ঞ বিশ্বজিৎ বসাত জানান, “শীতে এই জেলায় পরিযায়ী পাখিদের আগমন ঘটে। এবার আরও পাখির দেখা মিলছে যা খুব ভাল দিক জীববৈচিত্রে। বেশ কিছু পরিচিত পাখি রয়েছে যারা পথ হারিয়ে ফেলে। বাকিরা দলের সঙ্গে নির্দিষ্ট সময় ফিরে যায়। আবার নির্দিষ্ট সময় তারা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন জলাশয়ে এসে কলরবে ভরিয়ে তোলে।”
মূলত, এই সমীক্ষা ও গণনার মাধ্যমে কোন এলাকায় কোন প্রজাতির পাখি কেন বাড়ছে এবং পাখিদের থাকার ভাল পরিবেশ ও খাদ্যের জোগানের কথা ভাববে বনদফতর। জেলার বিভিন্ন জলাশয় গুলিতে প্রতিবছর শীতকালে প্রচুর পরিযায়ী পাখি আসে এবং এই জলাশয় গুলিতে আশ্রয় নেয়।
আরও পড়ুন- শীতের বাজারে এক প্রশ্নই ঘামাবে?দার্জিলিং চায়ের স্বাদ কত রকমের? সরাসরি চ্যালেঞ্জ
প্রতিবছরই সেই সংখ্যা বাড়ছে। আসছে নতুন নতুন প্রজাতি। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় এই পরিযায়ী পাখিদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। যে কারণে দক্ষিণ দিনাজপুর বনবিভাগ এবং তার সঙ্গে আরও তিনটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পাখি চিহ্নিতকরণ ও গণনার কাজ শুরু করেছে। শুধু তাই নয় এই অপূর্ব দৃশ্য দেখতে বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন জলাশয়ের পাশে।
সুস্মিতা গোস্বামী