স্কুলের পক্ষ থেকে জানা যায়, সারাবছরই নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় স্কুলের তরফে। তবে এইসব খেলাধুলা, নাচ গান বাদ দিয়ে একটু অন্য রকমের আনন্দে ছাত্রীদের মেতে ওঠার সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সরকারি নির্দেশিকার তালিকায় খাদ্য মেলা করা যেতে পারে বলে জানানো হয়েছিল। তা দেখেই শিক্ষিকাদের মনে হয়েছিল খাদ্যোৎসব আয়োজন নিয়ে। আর যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। ছাত্রীরা প্রত্যেকেই নিজে হাতে খাবার তৈরি করে এদিন হাজির হয় স্কুলে।
advertisement
আরও পড়ুন: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে কর্মসংস্থান, ঘোষণার ৪ বছর পর শিল্প পার্ক হচ্ছে এই জেলায়
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা সুলভা মন্ডল জানান, “একেবারে অভিনব এই উদ্যোগে ছাত্রীদের পাশাপাশি তাঁরাও ভীষণ খুশি। লেখাপড়ার পাশাপাশি খাবার তৈরি এবং তা বিক্রি করে যে স্বনির্ভর হওয়া যায়, সেটা একেবারে হাতে-কলমে বুঝে গেল পড়ুয়ারা। শিক্ষিকারাও বুঝতে পারলাম লেখাপড়ার পাশাপাশি এমন উদ্যোগের কতটা প্রয়োজনীয়তা আছে।”
এই দিনের খাদ্য মেলায় মোট ২২ টি স্টলে প্রায় ১২০ জন ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। এই সমস্ত ছাত্রীরা নিজের হাতে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করে খাদ্য মেলাতে অংশগ্রহণ করে। এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার ফলে ছাত্রীদের প্রচুর প্রতিভা রয়েছে তা চোখে পড়ার মত বোঝা যাচ্ছে। শুধুমাত্র পড়াশোনা নয়, তার পাশাপাশি স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
সুস্মিতা গোস্বামী





