বিশেষ পদ্ধতিতে আগুন ভাজা হচ্ছে এই মোমো, তাই বিক্রেতা নাম দিয়েছেন ফায়ার মোমো। মালদহের হবিবপুর ব্লকের আইহো বাজারে এখন এই ফায়ার মোমোর চাহিদা ব্যাপক। শীতের শুরুতেই এই অভিনব মোমো আকর্ষণীয় করছে ক্রেতাদের। বিক্রেতা প্রণব সিংহ বলেন, “একমাত্র আমার দোকানেই এই মোমো পাওয়া যায়। আমি আমার নিজস্ব চিন্তা ভাবনা থেকেই তৈরি করছি। ক্রেতাদের মধ্যেও ভাল সাড়া মিলছে, অনেকেই এখানে এই মোমো খেতে আসছেন।”
advertisement
আরও পড়ুনChhath Puja 2023: উড়বে ড্রোন, পুলিশি ব্যারিকেড! ছট পুজোর বিরাট আয়োজন মহানন্দার তীরে
বর্তমানে প্রতিযোগিতার বাজার। সাধারণ স্টিম মোমো বিক্রি হলেও ফ্রাই মোমো, ডাম্পিলং মোমো, আচারী মোমো সহ বিভিন্ন মোমো এখন দোকানে দোকানে মিলছে। নিত্যনতুন মোমো ক্রেতাদের কাজে তুলে ধরতে বিক্রেতাদের মধ্যেও চিন্তা ভাবনার লড়াই শুরু হয়েছে। এই ভাবনা থেকেই আইহো বাজারের মোমো বিক্রেতা প্রণব সিংহের এমন উদ্যোগ। অনান্য ফ্রাই মোমোর থেকে একটু আলাদা পদ্ধতিতে তৈরি হচ্ছে এই ফায়ার মোমো।
প্রথমে ছাঁকা তেলে মোমো ফ্রাই করা হচ্ছে। তারপর কড়াইয়ে হালকা তেল দিয়ে সেখানে বিভিন্ন রকম মশলা দেওয়া হচ্ছে। বিক্রেতা নিজের চিন্তা ভাবনা থেকেই এই মলশা তৈরি করেছেন। মশলা ভাজার সময় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে কড়াইয়ে। বিশেষ এই মশলা তেলে দিতেই আগুন জ্বলে উঠছে। তারপর ভাল ভাবে মশলা ভেজে মোমো দেওয়া হচ্ছে। এই ভাবেই তৈরি হচ্ছে এই ফায়ার মোমো। প্রণব সিংহ বলেন, প্রতিযোগিতার বাজার। অন্যান্য বিক্রেতারাও বিভিন্ন প্রকারের মোমো বিক্রি করছেন। তাই আমি আমার নিজস্ব চিন্তা ভাবনা থেকে ফায়ার মোমো তৈরি করছি। নিজস্ব মশলা দিয়ে তৈরি করছি।
অন্যান্য সাধারণ মোমোর থেকে স্বাদ একেবারেই অন্যরকম। চিকেন বা ভেজ দুই ধরণের মোমোই ফায়ার মোমো হয়। দামও খুব একটা বেশি না, ভেজ ফায়ার মোমোর দাম ৪০ টাকা। চিকেন ফায়ার মোমোর দাম ৫০ টাকা। দাম স্বাভাবিক হওয়ায় সকলেই এই মোমো কিনে খেতে পারছেন। বাজারের অনান্য মোমোর থেকে এই ফায়ার মোমোর চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দূর দূরান্তের মানুষ এখানে আসছেন ফায়ার মোমোর টানে।
হরষিত সিংহ