বক্সা ও জলদাপাড়া জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসছে দল বেঁধে হাতি। তাদের নজর থাকে লোকালয়গুলিতে। অনেক সময় জাতীয় সড়ক বন্ধ করে রেখে দেয় তারা। যা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে। হাতির হানায় সবচেয়ে বেশি অতিষ্ট গ্ৰামবাসীরা। বনদফতরের নিমতি রেঞ্জ কার্যালয় সংলগ্ন গ্রামের মানুষরা। সকাল নেই, বিকেল নেই গ্রামে ঢুকে পড়ছে একদল হাতি। বাড়ি ঘর থেকে শুরু করে ফসল ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে দাঁতালদের তাণ্ডবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নিরীহ বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে ‘কুকর্ম’! সাবধান হন এখনই, নয়তো ভুগতে হবে, জানুন কী ঘটেছে জলদাপাড়ায়
বক্সা জঙ্গল ঘেরা এই এলাকায় এমন পরিস্থিতি দেখে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। তারা বহুবার এই বিষয়ে জানিয়েছেন বনকর্মীদের। তারপরেও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। সম্প্রতি রেঞ্জ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান তারা। আলিপুরদুয়ার জেলার উত্তর ও দক্ষিণ লতাবাড়ি গ্ৰামে হাতির উপদ্রব বেড়েই চলেছে। প্রতিরাতে হাতি হানা দিয়ে ফসল নষ্ট করছে। এছাড়া হাতির হানায় এখনও অবধি কয়েকজন বাসিন্দা আহত হয়েছেন।
গ্ৰামবাসীদের অভিযোগ, বনদফতর হাতির হানা ঠেকাতে ফেন্সিং দিচ্ছে না। বাসিন্দারা সম্প্রতি বনদফতরের নিমতি রেঞ্জ কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভে সামিল হয়। কয়েকশো গ্ৰামবাসী রেঞ্জ কার্যালয় সামনে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখায়। এরপরেই এলাকায় আসেন এডিএফও নবজ্যোতি দে। তিনি গ্রামবাসীদের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই বিষয়ে এডিএফও নবজ্যোতি দে জানান, “বনকর্মীরা টহল দেন। কিন্তু হাতির সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ২০১৭ সালে শেষ হাতি গণনা হয়েছিল। তখন সর্বনিম্ন হাতির সংখ্যা ছিল ৭৭৬-এর মত। সংখ্যা বেড়েছে আবার গণনা করলে বোঝা যাবে।”





