ভুটান পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় বৃষ্টির জেরে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়েছে সেন্ট্রাল ডুয়ার্স এলাকা। ফুলেফেঁপে উঠেছে পানা ও বাসরার মত নদীগুলি। বৃষ্টি কমলে নদীর জল যখন নামতে থাকে তখন যোগাযোগ ব্যবস্থা সঠিক হয়। এই সমস্যা গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে। এর মাঝেই রাতে হাতির হানা চলছে এলাকায়। অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে’, বন্ধুকে মেসেজ করেই এ কী কাণ্ড করে বসল!
সেন্ট্রাল ডুয়ার্স এলাকার দুই নদীর জল পুরো এলাকা দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। ভারী বৃষ্টি হলে মাঝেমধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হাজার কয়েক বাসিন্দা প্রবল সমস্যায় পড়েছেন। তার উপর হাতির হানা সমস্যা দ্বিগুন করে তুলেছে। রাত করে হাতি এলে এই ঝড়, জলের মধ্যে কোথায় যাবেন এলাকাবাসীরা বুঝে পান না।
প্রতি বছরই বৃষ্টি বাড়লেই ডুয়ার্সের চা বাগানে হাতির তাণ্ডব নিত্য দিনের ঘটনায় পরিণত হয়।হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিনজন শ্রমিকের বাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে কালচিনি ব্লকের রাধারানি চা বাগানে। সেন্ট্রাল ডুয়ার্স এলাকাতেই রয়েছে এই চা বাগানটি।
আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামের বাঙালিদের মাছে-ভাতে রাখতে নেওয়া হল এই ব্যবস্থা
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রোজ রাতে খাবারের লোভে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে একটি বুনো হাতি। রাধারানি চা বাগানের শ্রমিক মহল্লায় ঢুকে পড়ে। বৃষ্টি থাকার কারণে শব্দবাজি পুড়ছে না। এর ফলে এলাকায় হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে হাতিটি এলাকার শ্রমিক মাইকেল দার্জি, রেশমি বরাইক ও ধরম দাস গোসাইয়ের বাড়িতে আক্রমণ চালিয়ে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। পাশাপাশি এলাকাবাসীর অভিযোগ, হাতির হামলার বিষয়ে বন দফতরকে ফোন করলেও সঙ্গে সঙ্গে কেউ আসে না।