বর্ষা হোক বা শীত বুনো হাতির দৌরাত্ম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে ধান ক্ষেতে।সাতালি বস্তি হয়ে উঠেছে হাতিদের বিচরণের মুক্তভূমি। মাঠে ধান পাকার পূর্বেই চলে আসছে বুনো হাতি।চলছে একের পর এক ক্ষেতে হানা। ইতিমধ্যে সবমিলিয়ে আট বিঘা জমির ধান নষ্ট করে দিয়েছে হাতি। মাথায় হাত কৃষকদের।এই ধান যারা চাষ করছিলেন মহিলা কৃষকরা।
advertisement
আরও পড়ুন – World Cup Earning: বিশ্বকাপে পাগল করা রোজগার, বিজ্ঞাপন থেকে টাকা ঢুকছে হু হু করে, আয় ২০০০
জানা গিয়েছে গ্রামের পাঁচজন মহিলা কৃষক মিলে ১৬ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলেন। আলিপুরদুয়ার জেলার সাতালি বস্তি এলাকাটি কৃষিকাজের জন্য পরিচিত। এই এলাকায় প্রতিনিয়ত হাতির হানার ঘটনা ঘটছে।সন্ধ্যা হতেই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে বুনো হাতি এলাকায় প্রবেশ করে তাণ্ডব চালাচ্ছে। সুমিত্রা অসূর নামের এক মহিলা কৃষক জানান, “ধান পাঁকতে শুরু করেছে।তা পুরপুরি পাঁকতে সময় লাগবে প্রায় একমাস।বর্তমানে দেখা যাচ্ছে কাঁচা ধান সাবাড় করে দিচ্ছে বুনো হাতির দল।”
এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, গত বছর হাতির হানার কারণে ধান ঘরে তুলতে পারেননি তাঁরা।সব ধান হাতি সাবাড় করে দিয়েছিল।এবারও হয়ত তাই হবে।কৃষকদের জমিতে হাতির হানা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু ক্ষতিপূরণ মিলছেনা। গতবছরও হাতির হানায় ক্ষতি হয়েছিল।আবেদন করা হয়েছিল কিন্তু বনদফতরের তরফে ক্ষতিপূরণ মেলেনি।যদিও এই বিষয়ে বনদফতরের হ্যামিল্টণগঞ্জ রেঞ্জের তরফে জানা গিয়েছে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের।
Annanya Dey