এখন আশায় বুক বেঁধেছেন জেলার মানুষ কবে এই লাইন দিয়ে বিদ্যুতের সাহায্যে ট্রেন চলাচল করবে। উল্লেখ্য ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের সব রেলপথের বৈদ্যুতিকরণ কাজ সম্পূর্ণ শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় রেল। সেই অনুযায়ী এই পথে এই কাজ দ্রুত শেষ হওয়ায় খুশি সাধারণ মানুষ। বারসই রাধিকাপুর এইলাইনটি ২০০৬ সালে ব্রডগেজে রূপান্তরিত হয়। বাংলাদেশের অংশটি ব্রডগেজ এ রূপান্তরিত হওয়ার পরে ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ভারতের হয়ে নেপাল থেকে বাংলাদেশ পণ্যবাহী ট্রেন যাতায়াত করছে এখন।
advertisement
আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গজুড়ে তাপপ্রবাহ, রোদের তেজে হিট স্ট্রোক হয়ে মৃত্যু!
জানা যায়, দ্রুত এই পথে বৈদুতিকরণের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর সম্প্রতি রাধিকাপুর-বারসই রেলপথে ওভারহেড তারে পরীক্ষামূলক ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ করা হয়। ইতিমধ্যে সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ডিভিশনের ডিআরএম শুভেন্দু কুমার চৌধুরী এই পথে এই কাজ কেমন হয়েছে তার পর্যবেক্ষণ করে গিয়েছেন। জানা যায়, এই পথে ডিজেল ইঞ্জিনের পরিবর্তে বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের সাহায্যে ট্রেন চলাচল করার ফলে একদিকে যেমন রাস্তায় ইঞ্জিনের পরিবর্তনের কারণে যে সময় ব্যয় হতো সেটা থাকবে না তেমন ভাবেই প্রচুর ডিজেলের ও সাশ্রয় হবে ভারতীয় রেলের।
আরও পড়ুন: ‘আরও গ্রেফতার হবে’, ইডির দাবির পরই গুঞ্জন, ‘এবার কে?’ যা সামনে আসছে, কল্পনাতীত!
এছাড়া কলকাতা ও শিলিগুড়ি গ্রামীণ ট্রেনগুলো এখান থেকে দ্রুততার সঙ্গে চলবে এবং কলকাতা গামী ট্রেনগুলিকে ইঞ্জিন পরিবর্তন করতে হবে না। তাতে সময়ও সংক্ষেপ হবে এবং যাত্রীরাও আরও কম সময়ে কলকাতায় পৌঁছতে পারবেন। এর পাশাপাশি রেল পরিষেবার মান আরও অনেক বেড়ে যাবে। এলাকার স্থানীয় মানুষরা বলেন এটা খুবই খুশির খবর। এখন যত তাড়াতাড়ি চালু হয় ততই মঙ্গল।
তাঁদের দাবি, ‘এটা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল আমাদের তা পূরণ হতে চলছে। এক সাক্ষাৎকারে কালিয়াগঞ্জ স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার পঙ্কজ কুমার এক সাক্ষাৎকারে বলেন ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের রাধিকাপুর থেকে বিহারের বারসই জংশন পর্যন্ত ট্রেনে বৈদ্যুতিকরণের কাজ নিরানব্বই ভাগ কাজ শেষ। যে কোনও দিন তারিখ ঘোষণা হবে।’ এর ফলে একদিকে যেমন ট্রেনের গতি বৃদ্ধি পাবে অন্য দিকে ট্রেন যাত্রীরা কম সময়ের মধ্যে গন্তব্যস্থলে যেতে পারবেন।
পিয়া গুপ্তা