দেবী কাত্যায়নী দুর্গার ষষ্ঠ রূপ, যাকে ‘নবদূর্গা’ হিসেবেও পুজো করা হয়। দেবী কাত্যায়নী শক্তি ও বুদ্ধিমত্তার প্রতীক হিসেবে পরিচিত, আর তাঁর আরাধনা অতুলনীয় শুভকারক শক্তি প্রদান করে। এই পুজোর ইতিহাস বহু প্রাচীন। কাত্যায়নী মুণি প্রথম এই পুজোর প্রবর্তন করেছিলেন, এবং সেই কারণেই পুজোটির নামকরণ হয়েছে কাত্যায়নী পুজো।
advertisement
জলপাইগুড়ির রায়কত পাড়ায় ভট্টাচার্য পরিবারে এই পুজো শুরু হয় ১৯৪৭ সালে। তবে, এই পুজো আগে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হত। কিন্তু ,পরবর্তীতে ছ’ভাই মিলে জলপাইগুড়িতে এই পুজো অনুষ্ঠিত করতে থাকেন। নবমী পুজোর দিন রায়কত পাড়ার ভট্টাচার্য বাড়িতে অনুষ্ঠিত হল অত্যন্ত সাড়ম্বরে ও নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে কাত্যায়নী পুজো। সকাল থেকেই ভক্তদের ভিড় জমে ওঠে, পুজোর সকল আনুষ্ঠানিকতা যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়। পুজোর বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান মেনে, দেবী কাত্যায়নীর মহিমা ও আশীর্বাদ লাভের উদ্দেশেভক্তরা সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন।
ভট্টাচার্য পরিবার তাদের পবিত্র ঐতিহ্য রক্ষা করে এই পুজো পালন করতে থাকে, যা জলপাইগুড়ির সংস্কৃতি ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের একটি অন্যতম অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই শীতকালেও দুর্গাপুজোর আমেজে উৎসবের পরিবেশ জলশহরে।
সুরজিৎ দে