আরও পড়ুনঃ প্রবীণদের মুখে হাসি ফোটাতে নবীনদের বড় উদ্যোগ, দুর্গাপুজোয় চমক ‘এই’ গ্রামে
চলতি বছরও সেই ধারাকে বজায় রাখছে সঙ্ঘশ্রী। প্রাক হীরক জয়ন্তী বর্ষে তাদের এবারের থিম “দিগন্তের সুর”। বাংলার বাউল সংস্কৃতিকে সামনে রেখে এবার মণ্ডপে তৈরি হচ্ছে এক অনন্য আবহ। ক্লাবের সদস্য শৈবাল দত্ত জানিয়েছেন, “বাউল মানেই একতারা-দোতারা। তাই মণ্ডপে ঢুকতেই প্রথমে দর্শক দেখতে পাবেন এক বিশাল দোতারা। সেই দোতারা হেলে থাকবে একটি পুরনো বাড়ির উপর, আর তার উপরে গড়ে তোলা হবে প্রকৃতির ছবি। এর মধ্য দিয়ে বোঝানো হবে বাউলদের অবস্থান, তারা খুবই সাদামাটা পরিবেশে জীবনযাপন করেন। আমরা সেই সরলতাই মণ্ডপে ফুটিয়ে তুলতে চাইছি।”
advertisement
প্রতিমার রূপেও থাকছে চমক। মাথায় জটা, হাতে বাদ্যযন্ত্র, মা দুর্গা থাকবেন একেবারে বাউল রূপে। শুধু মা নন, দেবী পরিবারও সেজে উঠবে বাউল সাজে। শিল্পী দিব্যেন্দু পোদ্দারের কল্পনায় এই গোটা আবহ পুজো মণ্ডপে নতুন মাত্রা যোগ করবে। আলোকসজ্জার ক্ষেত্রেও থাকছে আলাদা চমক। আলোর কারুকাজে তৈরি হবে এমন এক পরিবেশ, যাতে মণ্ডপে ঢুকেই দর্শক অনুভব করবেন, যেন তিনি হারিয়ে গিয়েছেন বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতির সরল অথচ অনন্য জগতে।
এখানেই শেষ নয়। পুজো কমিটির সেক্রেটারি অভিষেক মালাকার জানিয়েছেন, “মণ্ডপে যেমন বাউলের ছোঁয়া থাকবে, তেমনই পুজো চলাকালীন লাইভ বাউল গান শোনানোরও পরিকল্পনা রয়েছে। দর্শকরা গান শুনতে শুনতে মণ্ডপ দর্শন করবেন, যা অন্য অভিজ্ঞতা এনে দেবে।”
নতুন প্রজন্মকে বাউল সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করানোই এ বছরের মূল উদ্দেশ্য বলে জানালেন ক্লাব কর্তারা। শৈবাল দত্তের কথায়, “আজকাল আর বাউলকে দেখা যায় না সহজে। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই জানে না বাউল সঙ্গীত আসলে কী। তাই আমরা চাইছি, শহরবাসী আবারও বাউলের সেই জগতে ফিরুক। রবীন্দ্রনাথকেও আমরা দেখাব বাউল বেশে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুজোকে ঘিরে সঙ্ঘশ্রীর এই পরিকল্পনায় ইতিমধ্যেই শহরজুড়ে বাড়ছে উৎসাহ। দীর্ঘদিন ধরে শহরবাসীর মনে আলাদা জায়গা তৈরি করা এই ক্লাবের এবারের উদ্যোগ যে ফের দর্শকদের মন জয় করবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত আয়োজকরা। এখন শহরের প্যান্ডেল হপিংপ্রেমীদের অপেক্ষা, কবে বাজবে সেই একতারা-দোতারার সুর, কখন খুলবে সঙ্ঘশ্রীর মণ্ডপের দরজা।