স্কুলে ১০০% উপস্থিতি! পড়ুয়াদের কামাই নেই একদিনও! কী এমন রয়েছে গ্রামের 'এই' ছোট্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যা টেক্কা দিচ্ছে বেসরকারি স্কুলকেও

Last Updated:

Primary School: প্রত্যন্ত গ্রামের এই একচালা বিদ্যালয়কে সাজিয়ে তোলা হয়েছে শিশু বান্ধব হিসেবে। বেসরকারি বিদ্যালয়ের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সাজিয়ে তোলা হয়েছে নানান কিছু দিয়ে।

+
ডেবরা

ডেবরা ব্লকের রাধামোহনপুর হাটপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়

ডেবরা, পশ্চিম মেদিনীপুর, রঞ্জন চন্দ: দিকে দিকে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে বেসরকারি স্কুল। সরকারি বিদ্যালয়ের পড়াশোনার মান ও পরিকাঠামোর দিকে আঙুল তুলে বেসরকারি বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানোর মানসিকতা বাড়ছে অভিভাবকদের। তবে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিজেদের অভিনবত্ব সামনে এনেছে। বেসরকারি বিদ্যালয়ের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সাজিয়ে তোলা হয়েছে নানান ছবিতে। শুধু তথাকথিত পড়াশোনা নয়, পড়াশোনার বাইরে মানসিক বিকাশের এক অভিন্ন ঠিকানা এই প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সহযোগিতায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে এই বিদ্যালয়কে। যেখানে প্রতিদিনই ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতির সংখ্যা প্রায় একশ শতাংশ।
আরও পড়ুনঃ কোনরকম কুলিং মেশিন ছাড়াই ২৪ ঘণ্টা ঠাণ্ডা! কীভাবে এমন সম্ভব? বর্ধমানের হাওয়া মহলের ‘শীতল’ রহস্য জানলে আপনিও হা হয়ে যাবেন
প্রত্যন্ত গ্রামেরই ছোট্ট একটি একচালা প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়কে সাজিয়ে তোলা হয়েছে শিশু বান্ধব হিসেবে। হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি শ্রেণিকক্ষ। বাইরে থেকে তেমন বোঝা না গেলেও বিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে এক আলাদা অনুভূতি দেবে আপনাকে। বিদ্যালয়ের একটি কোণে একটা ছোট্ট আলমারি। রয়েছে দেওয়াল জুড়ে নানা ছবি। লাইব্রেরি হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে একটা দিক। যেখানে রয়েছে নানান গল্পের বই এবং খেলার সামগ্রী। পড়ুয়াদের মধ্যে বই পড়ার মানসিকতা বৃদ্ধি করতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা গড়ে তুলেছেন এই লাইব্রেরি। যা নজর কেড়েছে শিক্ষা মহলে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কপিলমুনির আশ্রম ক্রমশ গিলতে আসছে উত্তাল সমুদ্র! ছাড়পত্র না মেলায় বাঁধ তৈরির কাজ থমকে, কী হবে এবার? দুশ্চিন্তায় সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী
বিদ্যালয়ের প্রতি ভীতি কাটাতে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় আগ্রহ তৈরি করতে একচালা এই বিদ্যালয়কে সাজানো হয়েছে নতুন ভাবে। দেওয়াল জুড়ে শিক্ষার নানা বিষয়বস্তুকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গ্রামের এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বর্ণপরিচয়ের একাধিক বর্ণ দিয়ে আঁকা হয়েছে বিদ্যালয়ের দেওয়াল। স্কুলছুট রুখতে বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের অভিনব ভাবনা আপনাকে মুগ্ধ করবে। সকল ছেলেমেয়েদের কাছে একটি আনন্দের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সাজানো হয়েছে নতুন ভাবে।
advertisement
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দেওয়ালে নানান ছবির সঙ্গে বর্ণপরিচয়কেও সাজিয়ে তোলা হয়েছে পড়ুয়াদের কাছে। রয়েছে ইংরেজি বর্ণমালা থেকে মাস কিংবা বিভিন্ন দিনের নাম। বিভিন্ন গল্প অবলম্বনে আঁকা হয়েছে নানান ছবিও। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের প্রান্তিক এক এলাকা রাধামোহনপুরে এমনই বিদ্যালয় নজর কেড়েছে জেলার মানুষের। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অন্যরকম ভাবে শিক্ষাদানের জন্য অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ডেবরা ব্লকে রাধামোহনপুর হাটপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। একচালা স্কুল হলেও শিক্ষকদের উদ্যোগে এক লহমায় বদলে গিয়েছে গোটা স্কুলের পরিবেশ। মজার ছলে শিশুরা শিখতে পারছে তাদের প্রাথমিক পাঠ। শুধু তাই নয় এক সৃজনশীল মানসিকতা নিয়ে একদম ছোট থেকেই নিজেদেরকে গড়ে তুলছে ছাত্র-ছাত্রীরা।
advertisement
যখন প্রান্তিক এলাকায় সরকারি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করার প্রবণতা কমছে, তখনই এই স্কুলে এলে আপনিও মুহূর্তেই বদলে যাবেন। আনন্দের সঙ্গে পড়াশুনা এবং খেলাধুলো এছাড়াও মানসিক সামগ্রিক উন্নয়নে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে। গতানুগতিক সরকারি স্কুলের সেই ছবির বাইরে শিক্ষকদের স্বদিচ্ছা এবং গ্রামের মানুষের সহায়তায় এমন যে স্কুলের রূপ দেওয়া সম্ভব তা প্রমাণ করেছে জেলার অত্যন্ত এলাকার এই প্রাথমিক স্কুল।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
স্কুলে ১০০% উপস্থিতি! পড়ুয়াদের কামাই নেই একদিনও! কী এমন রয়েছে গ্রামের 'এই' ছোট্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যা টেক্কা দিচ্ছে বেসরকারি স্কুলকেও
Next Article
advertisement
Durga Puja 2025: শারদ আনন্দ ছুঁয়ে যাবে ওঁদেরকেও, প্রকাশিত হল পুজো মণ্ডপের ব্রেইল গাইড!
শারদ আনন্দ ছুঁয়ে যাবে ওঁদেরকেও, প্রকাশিত হল পুজো মণ্ডপের ব্রেইল গাইড!
  • চোখের দৃষ্টিতে যাঁদের শুধুই অন্ধকার, তাঁদের জন্য অনুভূতিই সব। শারদোৎসবের আমেজ-উদ্দীপনায় তাঁরা যাতে পিছিয়ে না পড়েন, তার জন্য নেওয়া হল অভিনব উদ্যোগ।

VIEW MORE
advertisement
advertisement