প্রবীণদের মুখে হাসি ফোটাতে নবীনদের বড় উদ্যোগ, দুর্গাপুজোয় চমক 'এই' গ্রামে

Last Updated:
Durga Puja 2025: বয়স্ক মানুষদের পুজোর আনন্দ দিতে বড় সিদ্ধান্ত নিল পটাশপুর। গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা মিলে এক নতুন ভাবনা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। এ বছর তাঁরা গ্রামের মধ্যেই দুর্গাপুজোর আয়োজন শুরু করেছেন।
1/6
জেলার প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় দুর্গাপুজোর আয়োজন সাধারণত দেখা যায় না। বাড়ির তরুণ-তরুণীরা দূরে গিয়ে পুজোর আনন্দ উপভোগ করতে পারলেও সমস্যায় পড়েন গ্রামের বয়স্ক মানুষজন। তাঁদের কথা ভেবেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরের দক্ষিণ খাড়, পূর্ব খাড় এবং বৈঁচা গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা মিলে এক নতুন ভাবনা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। এ বছর তাঁরা গ্রামের মধ্যেই দুর্গাপুজোর আয়োজন শুরু করেছেন। বয়স্ক মানুষদের ঘর থেকে বের না হয়েও পুজোর আনন্দ দেওয়াই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য। (ছবি ও তথ্য : মদন মাইতি)
<strong>পূর্ব মেদিনীপুর, মদন মাইতি:</strong> জেলার প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় দুর্গাপুজোর আয়োজন সাধারণত দেখা যায় না। বাড়ির তরুণ-তরুণীরা দূরে গিয়ে পুজোর আনন্দ উপভোগ করতে পারলেও সমস্যায় পড়েন গ্রামের বয়স্ক মানুষজন। তাঁদের কথা ভেবেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরের দক্ষিণ খাড়, পূর্ব খাড় এবং বৈঁচা গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা মিলে এক নতুন ভাবনা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। এ বছর তাঁরা গ্রামের মধ্যেই দুর্গাপুজোর আয়োজন শুরু করেছেন। বয়স্ক মানুষদের পুজোর আনন্দ দেওয়াই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য।
advertisement
2/6
এবারই প্রথম এই দুর্গাপুজোর সূচনা হয়েছে। খুঁটি পূজার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে আয়োজন। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামীণ মানুষদের আশা ছিল তাঁদের এলাকায়ও দুর্গোপুজো হোক। সেই আশাই এবার পূরণ হচ্ছে। উৎসব মানেই আনন্দ, আর সেই আনন্দ সবাই ভাগ করে নিতে চাইছেন। গ্রামের মানুষজন মনে করছেন, এই পুজো তাঁদের মিলনমেলার নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। তরুণ থেকে প্রবীণ সবাই মিলেই এই উদ্যোগে হাত লাগিয়েছেন।
এবারই প্রথম এই দুর্গাপুজোর সূচনা হয়েছে। খুঁটি পুজোর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে আয়োজন। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামীণ মানুষদের আশা ছিল তাঁদের এলাকায়ও দুর্গাপুজো হোক। সেই আশাই এবার পূরণ হচ্ছে। উৎসব মানেই আনন্দ, আর সেই আনন্দ সবাই ভাগ করে নিতে চাইছেন। গ্রামের মানুষজন মনে করছেন, এই পুজো তাঁদের মিলনমেলার নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। তরুণ থেকে প্রবীণ সবাই মিলেই এই উদ্যোগে হাত লাগিয়েছেন। (ছবি ও তথ্য: মদন মাইতি)
advertisement
3/6
আজকাল শহর ও মফস্বলের দুর্গাপুজোগুলি নানা থিম ও আলো ঝলমল সাজসজ্জায় আকর্ষণ তৈরি করে। তবে পটাশপুরের দক্ষিণ খাড়, পূর্ব খাড় ও বৈঁচা গ্রামের বাসিন্দারা অন্যভাবে ভাবলেন। তাঁদের মতে, থিমের চাকচিক্যে নয়, গ্রামের সাধারণ মানুষের আনন্দই আসল। তাই সাবেকিয়ানায় শুরু হয়েছে তাঁদের পুজো। গ্রামের বয়স্করা বাড়ির সামনে বসেই পূজোর আনন্দ পাবেন। তাঁদের মুখের হাসিই এ বছরের পুজোর সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বলে মনে করছেন আয়োজকরা।
আজকাল শহর ও মফস্বলের দুর্গাপুজোগুলি নানা থিম ও আলো ঝলমল সাজসজ্জায় আকর্ষণ তৈরি করে। তবে পটাশপুরের দক্ষিণ খাড়, পূর্ব খাড় ও বৈঁচা গ্রামের বাসিন্দারা অন্যভাবে ভাবলেন। তাঁদের মতে, থিমের চাকচিক্য নয়, গ্রামের সাধারণ মানুষের আনন্দই আসল। তাই সাবেকিয়ানায় শুরু হয়েছে তাঁদের পুজো। গ্রামের বয়স্করা বাড়ির সামনে বসেই পুজোর আনন্দ পাবেন। তাঁদের মুখের হাসিই এ বছরের পুজোর সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বলে মনে করছেন আয়োজকরা। (ছবি ও তথ্য: মদন মাইতি)
advertisement
4/6
পুজো সফলভাবে শুরু হলেও আয়োজকরা জানাচ্ছেন, সরকারি সহায়তা পেলে আগামী দিনে আরও বড় আকারে আয়োজন করা সম্ভব হবে। গ্রামের আর্থিক অবস্থা খুব বেশি স্বচ্ছল নয়। সবাই মিলে চাঁদা তুলে এবছরের খরচ সামলানো হচ্ছে। কিন্তু ভবিষ্যতে সরকারি অনুদান বা প্রশাসনিক সহযোগিতা পেলে তাঁরা এই পুজোকে আরও সুসংগঠিত ও জাঁকজমকপূর্ণ করতে পারবেন। গ্রামের মানুষ আশা করছেন, তাঁদের এই উদ্যোগের ইতিবাচক সাড়া মিলবে।
পুজো সফলভাবে শুরু হলেও আয়োজকরা জানাচ্ছেন, সরকারি সহায়তা পেলে আগামী দিনে আরও বড় আকারে আয়োজন করা সম্ভব হবে। গ্রামের আর্থিক অবস্থা খুব বেশি স্বচ্ছল নয়। সবাই মিলে চাঁদা তুলে এবছরের খরচ সামলানো হচ্ছে। কিন্তু ভবিষ্যতে সরকারি অনুদান বা প্রশাসনিক সহযোগিতা পেলে তাঁরা এই পুজোকে আরও সুসংগঠিত ও জাঁকজমকপূর্ণ করতে পারবেন। গ্রামের মানুষ আশা করছেন, তাঁদের এই উদ্যোগের ইতিবাচক সাড়া মিলবে। (ছবি ও তথ্য: মদন মাইতি)
advertisement
5/6
এই দুর্গাপুজো শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এক ধরনের সামাজিক উৎসব হয়ে উঠেছে। গ্রামের মানুষজন একত্রিত হয়ে আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন। মহিলারা প্রসাদ তৈরির কাজে ব্যস্ত, যুবকরা আয়োজনের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন, বাচ্চারা নতুন জামা পরে আনন্দে মেতে উঠছে। বয়স্কদের জন্য বিশেষ বসার জায়গা রাখা হয়েছে। এতে গ্রামের মানুষজনের মধ্যে ঐক্য আরও দৃঢ় হচ্ছে। মিলনমেলার এই আবহ তাঁদের পুজোকে আলাদা মাত্রা দিয়েছে।
দুর্গাপুজো শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এক ধরনের সামাজিক উৎসব হয়ে উঠেছে। গ্রামের মানুষজন একত্রিত হয়ে আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন। মহিলারা প্রসাদ তৈরির কাজে ব্যস্ত, যুবকরা আয়োজনের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন, বাচ্চারা নতুন জামা পরে আনন্দে মেতে উঠছে। বয়স্কদের জন্য বিশেষ বসার জায়গা রাখা হয়েছে। এতে গ্রামের মানুষজনের মধ্যে ঐক্য আরও দৃঢ় হচ্ছে। মিলনমেলার এই আবহ তাঁদের পুজোকে আলাদা মাত্রা দিয়েছে। (ছবি ও তথ্য: মদন মাইতি)
advertisement
6/6
কমিটির সহ সম্পাদক চন্দন পাত্র জানিয়েছেন, “আমরা প্রথম বছরের পুজো সাবেকিয়ানায় করছি। কোনও থিমের পরিকল্পনা এবার নেই। আমাদের মূল লক্ষ্য গ্রামের বয়স্করা। তাঁদের আনন্দই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।” তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে তাঁরা চান এই পুজো আরও বড় হোক, যাতে গ্রামে শহরের মত উৎসবের আমেজ তৈরি হয়।
কমিটির সহ-সম্পাদক চন্দন পাত্র জানিয়েছেন, “আমরা প্রথম বছরের পুজো সাবেকিয়ানায় করছি। কোনও থিমের পরিকল্পনা এবার নেই। আমাদের মূল লক্ষ্য গ্রামের বয়স্করা। তাঁদের আনন্দই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।” তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে তাঁরা চান এই পুজো আরও বড় হোক, যাতে গ্রামে শহরের মত উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। (ছবি ও তথ্য: মদন মাইতি)
advertisement
advertisement
advertisement