ঘোগোমালি অঞ্চলের জনস্রি ক্লাব এবারে তাদের ৫৬’তম বর্ষে সাজাচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। শুধু আদলেই নয়, পুজোর ক’টা দিন মন্দিরের মতোই পুজো-অর্চনা, এমনকি জগন্নাথ দেবের বিশেষ ভোগের আয়োজনও থাকবে। ক্লাব সম্পাদক শিবু দে জানান, প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা খরচে তৈরি হচ্ছে এই মণ্ডপ। থিম ছাড়াও থাকবে সামাজিক উদ্যোগ ও নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
advertisement
শহরের বাবুপাড়ার অন্যতম বিগ বাজেট পুজো ইয়ং ম্যানস অ্যাসোসিয়েশন এবার ৮০’তম বর্ষে দক্ষিণ ভারতের রামেশ্বরম মন্দিরকে বেছে নিয়েছে থিম হিসেবে। বিশাল এই মণ্ডপের বাজেট প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। পুজো কমিটির সদস্য প্রদীপ ঘোষ জানান, পুজোর দিনগুলোতে থাকছে মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা।
৪২’তম বর্ষে প্রবেশ করা বিপ্লবী গণেশ ঘোষ কলোনি দুর্গাপুজো কমিটি সাজাচ্ছে মায়াপুরের ইসকন মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। বিগত কয়েক মাস ধরে চলছে তার বিশাল প্রস্তুতি। পুজো কমিটির সদস্য সুব্রত সাহা বলেন, এবারের পুজো শহরবাসীর কাছে আলাদা ছাপ ফেলবে। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সামাজিক উদ্যোগ ও কিছু বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হবে।
শিলিগুড়ির দুর্গাপুজো এবার শুধু থিম নয়, যেন ভারত জুড়ে মন্দিরের এক ভ্রমণ। দিঘার জগন্নাথ মন্দির, দক্ষিণ ভারতের রামেশ্বরম মন্দির কিংবা মায়াপুরের ইসকন – সবই যেন হাজির হয়েছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দর্শনার্থীরা এক শহরেই ঘুরে দেখতে পারবেন দেশের বিখ্যাত মন্দিরগুলির রূপ ও আবহ। শুধু মণ্ডপ নয়, সামাজিক কাজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজনেও পুজো কমিটিগুলি সমান মনোযোগী। তাই এবারের দুর্গোৎসবে শিলিগুড়ি শহরবাসী ও বাইরের পর্যটকদের জন্য অপেক্ষা করছে ভিন্ন রকমের অভিজ্ঞতা – যেখানে ভক্তি, ঐতিহ্য আর শিল্পকলার অনবদ্য মেলবন্ধন তৈরি করবে উৎসবের আবহ।