কোচবিহার জেলা থেকে ত্রিদিব প্রথম মাউন্ট এভারেস্টের চড়াই করতে যাচ্ছেন। অদম্য শারীরিক ও মানসিক শক্তির পরীক্ষা দেওয়ার পর এভারেস্টে যাওয়ার ছাড়পত্র মিলেছে তাঁর। ২০২৫ সালের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই যাত্রা শুরু করতে চলেছেন ত্রিদিব।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
ত্রিদিব সরকার জানান, মাথাভাঙা শহরের ৮ নং ওয়ার্ড পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা ত্রিদিব। ছোট থেকেই পাহাড়ে চড়ার নেশা তাঁর। ২০১৭ সালে দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে ‘অ্যাডভান্স মাউন্টেনিয়ারিং কোর্স’-এ গোল্ড মেডেলও পেয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে সিকিমের মাউন্ট রেনক (৫০২৯ মিটার), ২০১৮ সালে হিমাচল প্রদেশের মাউন্ট মনিরাংয়ে (৬৫৯৩ মিটার), ২০২২ সালে তিনি জয় করেন লাদাখের মাউন্ট কাং ইয়াতসে ওয়ান শৃঙ্গ (৬৪০১ মিটার) জয় করেছেন।
advertisement
তবে একই বছর উত্তরাখন্ডের মাউন্ট শিভলিং (৬৫৪৩) জয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হলেও খারাপ আবহাওয়ার জন্য ক্যাম্প টু থেকে ফিরে আসতে হয় তাঁকে। তিনি বর্তমানে IOE, kolkata এবং CMC, Cooch Behar এই দুটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
ত্রিদিব সরকার জানান, “এভারেস্টের চুড়া ও তাঁর মাঝখানে এখন বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ লক্ষ টাকা। দুই মাসের অভিযানে তাঁর খরচ হবে এই টাকা। এরমধ্যে ১৩ লক্ষ টাকা নেপাল সরকারকে দিতে হবে। সরকারি, বেসরকারি নানা জায়গায় আর্থিক সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন তিনি ইতিমধ্যেই। তিনি কিছু টাকা জমিয়েছেন বেশ কিছুটা সময় ধরে। সেইসঙ্গে বেশ কিছুটা টাকার পরিমাণ একটা ঋণ নিয়েছেন। তবে তাঁর আরোও ১৫ লক্ষ টাকার প্রয়োজন রয়েছে। তাই যদি তাঁকে কেউ স্পনসর করতে চান তবে যেন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।”
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ি হয়ে কাঠমান্ডু পৌঁছাবেন ত্রিদিব। কাঠমান্ডুতে অফিসিয়াল কাজকর্ম সম্পন্ন করে বিমানে নেপালের লুকলা বিমানবন্দরে যাবেন। সেখান থেকেই ট্রেক শুরু হবে। ফাগডিন, নামচে বাজার, চ্যাংবোচে, ডিমবোচে, লোবুচে, গোরকশে হয়ে এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাঁর। সেখান থেকে চারটি ক্যাম্প পেরিয়ে শিখরে পৌঁছাতে হবে। দুইমাস ধরে চলবে এই গোটা অভিযান।
ত্রিদিব সরকারের ফোন নম্বর – 9932498085
Sarthak Pandit