পুজো কমিটির সম্পাদক কৌশিক দত্ত জানিয়েছেন, “মা আর সন্তানের মধ্যে যে ভক্তি, সেই টানই তো সবকিছুর শুরু। আজ যখন চারপাশে নারী নির্যাতনের খবর শোনা যায়, তখন আমাদের থিম সেই অদৃশ্য ভক্তির DNA-ই মনে করিয়ে দেবে, যে নারী আসলে মায়ের রূপেই শক্তি আর স্নেহের রূপ।” এবারের প্রতিমায় থাকছে মাতৃত্বের ছোঁয়া। একদিকে মা দুর্গার যুদ্ধজয়ী রূপ, অন্যদিকে সন্তানকে আঁকড়ে ধরা এক মায়ের কোমলতা। মণ্ডপের শয্যা আর অলঙ্করণেও থাকছে সেই বার্তার ছাপ।
advertisement
উদ্যোক্তাদের আশা, দর্শনার্থীরা শুধু মণ্ডপে ছবি তুলেই ফিরবেন না — ফিরে যাবেন এক নতুন বার্তা নিয়ে। ৭৪ বছরের শক্তিগড় সার্বজনীন দুর্গোৎসব বহু বছর ধরেই শহরবাসীর কাছে বিশেষ। কখনও লোকশিল্প, কখনও সামাজিক বার্তা — থিমে নতুনত্ব তাদের পুজোর বড় পরিচয়। এ বছরও ব্যতিক্রম নয়। সমাজকে সচেতন করার চেষ্টায় প্যান্ডেলই যেন কথা বলবে। শেষমেষ পুজো উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন, “মায়ের কোলে ভক্তির DNA থাকুক অটুট, সমাজে না থাকুক আর কোনও অমানবিকতা।” শিলিগুড়ি এবারও তাই দেখতে চলেছে আলো আর ভক্তির মধ্যে এক অন্যরকম স্পর্শ, শক্তিগড়ের মাতৃত্বের DNA।
ঋত্বিক ভট্টাচার্য





