আরও পড়ুন: ডিওয়াইএফআইয়ের উত্তরকন্যা অভিযানে ধুন্ধুমার! পুলিশ-বাম কর্মীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র শিলিগুড়ি
জেলার হেরিটেজ কমিটির এক সদস্য ঋষিকল্প পাল জানান, “এই দীঘিটি দীর্ঘ সময় ধরে রাজ বাড়ির পেছনের দিকে রয়েছে। এই ধরনের আরও কয়েকটি দিঘি রয়েছে রাজ বাড়ির পেছনের দিকে। দীঘিটি হেরিটেজ তালিকায় থাকা সত্বেও যা অবস্থা, তাতে দীঘিটিকে দেখে রীতিমত কষ্ট পেতে হয়। নোংরা-আবর্জনায় রীতিমত পরিপূর্ণ হয়ে রয়েছে দীঘিটি। দীঘিটি সংস্কার করা হয়না দীর্ঘ সময় ধরে। এরফলে জলজ আগাছা ও কচুরিপানায় সম্পূর্ণই পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে দীঘিটি। এছাড়া দীঘির তিনদিক থেকে স্থানীয় জনবসতির অবৈধ ভাবে অধিগ্রহণ হয়েছে বেশ অনেকটা।”
advertisement
আরও পড়ুন: কাগজে-কলমে নয়, সব কাজ হবে ডিজিটাল! পঞ্চায়েতে এপ্রিল থেকে বড় বদল, কী কী সুবিধা হবে
তিনি আরও জানান, “একটা হেরিটেজ ঐতিহ্য এভাবে বিলীন হয়ে যেতে দেওয়া যায় না। জেলা প্রশাসনের উচিত দীঘিটির দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট দফতরকে দিয়ে দ্রুত সংস্কার কাজ করানো। নাহলে অদূর ভবিষ্যতে দীঘিটি হারিয়ে যাবে জেলা থেকে। এছাড়া পুরসভার উচিত দীঘিতে যেন নোংরা না ফেলা হয় বিষয়টি খেয়াল রাখা।\” যদিও দীঘিতে নোংরা-আবর্জনার বিষয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর অভিজিৎ মজুমদার জানান, “স্থানীয় কিছু মানুষ রাতের অন্ধকারে অথবা সবার চোখের আড়ালে এই কাজ করেন। বিষয়টি নজর রাখা হবে। যাতে এই দীঘিটির মধ্যে কেউ নোংরা ফেলতে না পারেন।”
তবে জেলার এত পুরনো এক ঐতিহ্য ধীরে ধীরে নিজের পুরনো জেল্লা হারিয়ে পড়ে রয়েছে। তাই জেলা প্রশাসনের দ্রুত জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করে দীঘিটির অস্তিত্ব সংকট দূর করা উচিত। তাহলেই অদূর ভবিষ্যতে জেলার হেরিটেজ এই দীঘিটি সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যেতে পারবে না। নাহলে বেশ কিছুটা সময় পরে এই দীঘিটি অস্তিত্ব জেলার মধ্যে খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
Sarthak Pandit





