দেশের খ্যাতনামা ভূ-বিজ্ঞানীদের হাত ধরে এই অমূল্য সংগ্রহ এসে পৌঁছেছে জলপাইগুড়িতে। প্রদর্শনীর মূল আকর্ষণ নিঃসন্দেহে ডাইনোসরের ডিম, যা এক নজরে সাধারণ মানুষকেই ফিরিয়ে নিয়ে যায় কোটি কোটি বছর আগেকার পৃথিবীতে। তাহলে কীভাবে এল এই দুর্লভ সম্পদ।
advertisement
ক্লাবের সম্পাদক ড. রাজা রাউত বলেন, “ভূ-বিজ্ঞানীদের সহযোগিতা না পেলে এমন বিরল সংগ্রহ সামনে আনা সম্ভব হত না। আমাদের উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের কাছে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ এবং সচেতনতা তৈরি করা।” বিজ্ঞানীদের মতে, ডাইনোসর ছিল এক বিশাল মেরুদণ্ডী প্রাণী, যারা প্রায় ১৬ কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে আধিপত্য বিস্তার করেছে।
আরও পড়ুন– খুলে গিয়েছিল ককপিটের দরজা, তারপর যে দৃশ্য দেখলেন বিমানসেবিকারা…! চাকরি গেল পাইলটের
কিন্তু আজ থেকে প্রায় সাড়ে ছ’কোটি বছর আগে, ক্রিটেশিয়াস যুগের শেষে ঘটে এক ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয়। আর তাতেই চিরতরে অবলুপ্ত হয়ে যায় ডাইনোসরের যুগ। যদিও গবেষকদের ধারণা, ডাইনোসরের একটি অংশ থেকেই পরে উদ্ভব হয়েছে আজকের পরিচিত পাখি। এই প্রদর্শনী সাধারণ দর্শনার্থীদের কাছে শুধু কৌতূহলই নয়, ইতিহাস ও বিজ্ঞানের এক অমূল্য অভিজ্ঞতা। অতীতের কোটি বছরের সাক্ষাৎ প্রমাণ সামনে পেয়ে জলপাইগুড়ি শহরের মানুষও যেন ছুঁয়ে ফেলছেন বিস্ময়ের অন্য এক জগৎ।





