চা বাগানের শ্রমিকদের পারিশ্রমিক তোলা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ ভাতা কিংবা পেনশনের টাকা—সব পরিষেবা একপ্রকার স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল এতদিন।দিনমজুর, কৃষক থেকে শুরু করে ছোট ব্যবসায়ীরা, বহু মানুষই এই পোস্ট অফিসের উপর নির্ভরশীল। প্রতিদিন প্রায় আট হাজার গ্রাহক এখানে আসেন নানান পরিষেবা নিতে। ফলে পরিষেবা বন্ধ থাকায় অসুবিধায় পড়েন সকলে। অনেকেই পাড়া-প্রতিবেশী বা আত্মীয়ের কাছ থেকে ধার নিয়েই চালিয়েছেন সংসার। তবে অবশেষে প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধান হয়েছে। ফের চালু হয়েছে সমস্ত পরিষেবা। পোস্ট অফিসে গিয়ে ভিড় করছেন গ্রাহকরা।
advertisement
কেউ বেতন তুলছেন, কেউ সঞ্চয়পত্রে জমা দিচ্ছেন, কেউ আবার সরকারি প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেন হাতে।স্থানীয় বাসিন্দা বীণা তির্কি বলেন, “আমার বৃদ্ধা মায়ের ভাতার টাকা দু’মাস ধরে আটকে ছিল। এখন পেয়ে খুব স্বস্তি পেলাম।” এক চা শ্রমিক জানান, “মাইনার টাকা না পেয়ে খুব বিপদে পড়েছিলাম। এখন আবার পোস্ট অফিস খোলায় আমাদের অনেক সুবিধে হল।” ডেঙ্গুয়াঝাড় পোস্ট অফিসটি এলাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হওয়ায় সবচেয়ে সহজলভ্য। কাছাকাছি আরেকটি পোস্ট অফিস থাকলেও দূরত্বের কারণে সেটি অনেকেরই অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সব মিলিয়ে, পোস্ট অফিসে পরিষেবা পুনরায় চালু হওয়ায় যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন ডেঙ্গুয়াঝাড়ের সাধারণ মানুষ!