স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িটিতে মোট পাঁচজন যাত্রী ছিলেন। তাঁরা দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ির নকশালবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। সকাল প্রায় আটটা নাগাদ পাংখাবাড়ি রোডের এক বাঁকে এসে গাড়িটি হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কয়েকশো ফুট নীচে খাঁদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার শব্দে স্থানীয়রা ছুটে এসে পুলিশে খবর দেন। পরে দার্জিলিং থানার পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
advertisement
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে রাজেশ পাশওয়ান এবং সুমিত সিংহের। দু’জনেই নকশালবাড়ির বাসিন্দা। আহত তিনজনের মধ্যে রয়েছেন রাজ দাস, তারক বিশ্বাস, এবং করণ ঠাকুর। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনজনের শরীরে একাধিক আঘাত রয়েছে, তবে আপাতত তাঁরা চিকিৎসাধীন। দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শিলিগুড়ি ও নকশালবাড়িতে নেমে আসে শোকের ছায়া। মৃতদের পরিবারের সদস্যরা ইতিমধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছেছেন।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে, বৃষ্টিতে রাস্তা পিচ্ছিল থাকার কারণে চালক গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারান। গাড়িটি প্রায় ২০০ ফুট নীচে গিয়ে পড়ে। গাড়িটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার সঠিক কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে দার্জিলিং জেলা পুলিশ।
এই ঘটনায় আবারও প্রশ্ন উঠছে, পাহাড়ি এলাকায় নিরাপদ গতি ও রেলিংবিহীন রাস্তার বিপজ্জনক অবস্থা নিয়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন।
ঋত্বিক ভট্টাচার্য