সে আমার পাশেই শুতে চাইছিল... ট্রেনের স্লিপার কোচে ভোর ৪টেতে আচমকা ভাঙল ঘুম, যা দেখল তরুণী, মুহূর্তে কাঁপতে শুরু করল বুক!
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Indian Railways: সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল প্রায়ই এমন সব ভিডিও ছড়িয়ে পরে যা দেখলে শিউরে উঠতে হয়। আসলে রাস্তা ঘাটে, ট্রেনে, বাসে এমন এমন সব ঘটনার সম্মুখীন হন মানুষ যা দেখলে স্থির থাকা দায়। আর হাতে স্মার্ট ফোনে সেই সব অভিজ্ঞতাই ফোন বন্দি করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন অনেকে। যা মুহূর্তের মধ্যে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে আসমুদ্রহিমাচল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল প্রায়ই এমন সব ভিডিও ছড়িয়ে পরে যা দেখলে শিউরে উঠতে হয়। আসলে রাস্তা ঘাটে, ট্রেনে, বাসে এমন এমন সব ঘটনার সম্মুখীন হন মানুষ যা দেখলে স্থির থাকা দায়। আর হাতে স্মার্ট ফোনে সেই সব অভিজ্ঞতাই ফোন বন্দি করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন অনেকে। যা মুহূর্তের মধ্যে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে আসমুদ্রহিমাচল।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
ক্যাপশনে নেহা লিখেছেন, "আমার প্রোফাইলে দ্বিতীয় ভিডিওটি দেখুন। অবশেষে আমি আমার আসনটি পেয়েছি। উত্তর ভারতে ভ্রমণের সময় আপনাকে হয়ত এমনই যা কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমি যতটা সম্ভব সহ্য করছি, আর কীই বা করতে পারি? কিছুতেই কিছু বদলাবে না। আমি অন্তত যা করতে পারি তা হল এটিকে সবার সামনে তুলে ধরা।"
advertisement
advertisement
তরুণী লিখেছেন, "এই যাত্রা সহজ ছিল না। আমি কোনওক্রমে রাতটি পার করতে পেরেছি। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে আমি এমনকি রেল হেল্পলাইন নম্বর ১৩৯-এ ফোনও করেছিলাম, কিন্তু কেউ আসেনি। আমি ওই পুরুষদের দোষ দিচ্ছি না। সম্ভবত তাঁদের উদ্দেশ্য খারাপ ছিল না। তাঁরা কেউ কেউ কেউ আমার দিকে তাকিয়ে ছিল, যা খুবই অস্বস্তিকর। কিন্তু আমি ওদের অসহায় অবস্থাও বুঝতে পেরেছিলাম।"
advertisement
তিনি আরও লিখেছেন, "ওঁদের উদ্দেশ্য ভুল নাও হতে পারে, কিন্তু এভাবে আমার সিটে জোর করে ঢুকে পড়াটা আমাকে প্রভূত অস্বস্তিতে ফেলেছে। আমি আমার সিট বুক করেছি এবং টাকা দিয়েছি, তাই আমার জিজ্ঞাসা করার অধিকার আছে। বুকিং না করলেও, যদি কোনও পুরুষ অনুপযুক্ত আচরণ করত, তাহলে আমি কথা বলতাম। যাই হোক, অবশেষে আমি আমার সিট পেয়ে গিয়েছি।"
advertisement
মেয়েটি তাঁর পোস্টে বলেন, "যারা এই পোস্ট রেল কর্তৃপক্ষকে ট্যাগ করেছেন এবং আমার বার্তাটি ফরোয়ার্ড করেছেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ। আমি এখন বুঝে গিয়েছিল উত্তর ভারতে ট্রেন ভ্রমণ কেমন হতে পারে। আমি পুরো উত্তর ভারতকে দোষ দিচ্ছি না। আমি কেবল আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি।" এই পোস্টটি দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই নেহাকে সমর্থন করেছেন।
advertisement
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, "আপনি একেবারে ঠিক বলেছেন। মহিলাদের নিরাপত্তার সঙ্গে এই ভাবে আপস করা উচিত নয়, বিশেষ করে সংরক্ষিত কোচগুলিতে।" আরেকজন আরও লিখেছেন, "এই সমস্যাটি খুবই সাধারণ, কিন্তু মানুষ কথা বলতে বা প্রতিবাদ করতে ভয় পায়। রেলের উচিত সংরক্ষিত কোচগুলির যাত্রী নিরাপত্তার দিকটা আরও বেশি নিশ্চিত করা।" এই বিষয়ে অবশ্য ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে বর্তমানে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।