বর্তমানে দার্জিলিং জেলায় পাঁচটি অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্র থাকলেও দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় জরুরি পরিস্থিতিতে পৌঁছতে সময় লাগে। বিশেষত গরুবাথান, লাভা, লেলেগাঁও, পেদং সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দূরত্বের কারণে দমকল পৌঁছতে দেরি হয়। এই নিয়ে দীর্ঘদিন স্থানীয়দের ক্ষোভ ছিল।
আরও পড়ুনঃ শীতের পাহাড়ে অফবিট জায়গায় ঘুরতে চান? নেওড়া ভ্যালির কোলে লুকিয়ে থাকা মাইরুং গাঁও আপনাকে ডাকছে
advertisement
জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ অনিক থাপা জানিয়েছেন, বহু মাস ধরেই তাঁরা রাজ্য সরকারের কাছে নতুন দু’টি দমকল কেন্দ্রের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অবশেষে সেই দাবি পূরণ হয়েছে। তাঁর আশা, খুব দ্রুতই কাজ শুরু হবে।
নতুন কেন্দ্র তৈরি হলে গরুবাথান এলাকার পাশাপাশি সীমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ অত্যন্ত উপকৃত হবেন। একইভাবে সুখিয়াপোখরির দমকল কেন্দ্র পুরো ব্লক এলাকার নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সরকারি নথি অনুসারে, সুখিয়াপোখরির দমকল কেন্দ্র তৈরিতে ৫ কোটি ৬০ লক্ষ ১৯ হাজার ৫৭ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। অন্যদিকে গরুবাথানের দমকল কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪ কোটি ৮৫ লক্ষ ১ হাজার ২৭৭ টাকা। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে দমকল দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই দু’টি কেন্দ্র চালু হলে পাহাড়ে আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে সময় এবং ক্ষয়ক্ষতি কমবে, এমনটাই মত প্রশাসনের। পাহাড়বাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে তাই স্বস্তির হাওয়া দেখা দিয়েছে।






