ঠিক দুর্গাপুজোর আগে বাগানটিতে ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন বাগানের শ্রমিকরা। সেই সময় ১০ শতাংশ বোনাস আগেই দিয়ে দিয়েছিল মালিকপক্ষ। কিন্তু বাকি ১০ শতাংশ বোনাস, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ইনক্রিমেন্ট সহ অন্যান্য খাতে বকেয়া প্রায় ১৫ কোটি টাকা মেটানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় বাগানে। প্রথমে কর্মবিরতি ও পরে অনশনে বসেন বাগানের শ্রমিকরা। বাগানে বর্তমানে প্রায় ৩৫০ জন শ্রমিক রয়েছে। আন্দোলনের মুখে পড়ে বাগানকে পুজোর ঠিক আগে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে ছেড়ে চলে যায় মালিকপক্ষ। এদিকে টানা আন্দোলন চলার মধ্যেই শুরু হয় বৈঠক। শেষে পদক্ষেপ করে জিটিএ। জিটিএ, ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ মঞ্চ ও শ্রম দপ্তর ও মালিকপক্ষকে নিয়ে শিলিগুড়ির শ্রমিক ভবনে বৈঠক হয়।
advertisement
এবিষয়ে লঙ ভিউ চা বাগানের এক শ্রমিক অ্যালেক্সসিউস বলেন, চা বাগান খুলে গেলেই আমরা খুশি, বাগানপক্ষ এখনো সমস্ত বকেয়া টাকা মেটায়নি তবুও চা শ্রমিকরা দীর্ঘদিন থেকে বেরোজগার হয়ে বাড়িতে বসে রয়েছে ,সেই অর্থে বাগান খুলে গেলে সকলে রুজি রোজগার পাবে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সকল শ্রমিকেরা।
আরও পড়ুন: সময় লাগবে ৫ মিনিট, বাড়িতে এইভাবে বানান পাহাড়ি গন্ধ-মাখা নেপালি ফ্রায়েড রাইস
ইতিমধ্যে লঙ ভিউ চা বাগান খুলে যাওয়ায় খুশির হাওয়া বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে। সমস্ত উৎসব থেকে বঞ্চিত থাকার পর বর্তমানে বাগানে ফেনাটাই তাদের কাছে একটি বড় উৎসব হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি বাকি ৬ শতাংশ বোনাস চলতি সপ্তাহের মধ্যেই মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয় মালিকপক্ষ। এছাড়া পিএফ, ইনক্রিমেন্ট সহ অন্যান্য বকেয়ার বিষয়ে আগামী বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান হয়।
সুজয় ঘোষ





