দার্জিলিং শহরের একটি ছোট গ্রাম ভূটিয়া বস্তি যেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামী দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস শেষ নিঃশ্বাস নিয়েছিলেন।বাড়িটির প্রবেশ দরজায় লেখা \”স্টেপ অ্যাসাইড”। দার্জিলয়ের এই বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস।প্রসঙ্গত, বাড়িটি তৈরি হয় ১৯০০ সালে।
এই বাড়িটি আসলে বাংলার প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল তথা ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত ভারতের গভর্নর জেনারেল কাউন্সিলের সদস্য নৃপেন্দ্র নাথ সরকারের।
advertisement
১৯৫৩ সালে তৎকালীন বাংলার গভর্নর হরিন্দ্র কুমার মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন মেমোরিয়াল সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৪ সালে, নৃপেন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে বীরেন্দ্র নাথ সরকার, সোসাইটির হাতে ‘স্টেপ অ্যাসাইড’-কে তুলে দেন। ম্যালের পাশ দিয়ে যে রাস্তা নেমে গেছে, তা ধরে মিনিট পাঁচেক গেলেই ‘স্টেপ অ্যাসাইড’। এখানেই প্রয়াণের আগে মাসখানেকেরও বেশি ছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ।
তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন মহাত্মা গান্ধি, অ্যানি বেসান্ত। এখানেই তৈরি হয়েছে দেশবন্ধু সংগ্রহালয়। কিন্তু এই জায়গা পাহাড়ে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে এখনো অজানা। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা নর্দান ভুটিয়া জানান এই জায়গায় প্রায়শই আসতেন চিত্তরঞ্জন দাস। গরমের সময় দার্জিলিংয়ের এই জায়গায় ছুটি কাঁটাতে আসতেন তিনি। এই জায়গায় দেওয়াল জুড়ে রয়েছে স্বাধীনতার ইতিহাস, এবং বর্তমানে এটি দেশবন্ধু সংগ্রহশালা যার মধ্যে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের ব্যবহৃত সমস্ত জিনিস বহু যত্ন করে রাখা রয়েছে।
আরও পড়ুন: Awas Yojana: ট্যাবের অবস্থা যেন আবাসের না হয়! টাকা দিতে ‘সুরক্ষা বলয়’ রাজ্যের, খোলা হবে ক্যাম্প
আরও পড়ুন: Road Accident: জলের ট্যাঙ্কার পিষে দিল স্কুটি, ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় মৃত্যু জনপ্রিয় মডেলের!
দার্জিলিং মলের পাশ দিয়ে একটি সরু রাস্তা নিচে নেমে গিয়েছে। সেই রাস্তা দিয়ে কিছুটা নামলে এই দেখতে পাবেন সাদা ঝকঝকে দোতালা এই বাড়ি। এই বাড়িটি বর্তমানে একটি সংগ্রহশালা যেখানে দেশবন্ধু সি আর দাসের ব্যবহৃত নানা জিনিস রাখা রয়েছে। এই জাদুঘরে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন এর স্মৃতিতে যে বিছানায় চিত্তরঞ্জন দাস দাস শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন এখনো সেই বিছানার উপর সেই শেষ দিনের ফটো রাখা রয়েছে, এছাড়াও তার ব্যবহৃত আলমিরা, পুরানো প্রতিকৃতি এবং ব্যক্তিগত বাসনপত্র এবং একটি রেডিও যা প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা তার মৃত্যুর আগে প্রায় তিন মাস ব্যবহার করেছিলেন, এই সমস্ত জিনিস যাদুঘরে প্রদর্শন করা হয়েছে।





