এইবার সেই দার্জিলিং আরও নতুন রূপে ধরা দিতে চলেছে পর্যটকদের কাছে। পুজোর আগে বড় চমক নিয়ে হাজির দার্জিলিং মিউনিসিপালিটি। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮৫০ সালে তৈরি ঐতিহ্যবাহী দার্জিলিং মিউনিসিপালিটি বিল্ডিং এবার নতুন সাজে সেজে উঠতে চলেছে। চেয়ারম্যান দীপেন ঠাকুরীর কথায়, ‘‘দার্জিলিং-এর ইতিহাস, হেরিটেজ আর সংস্কৃতিকে এক ছাদের তলায় পর্যটকদের সামনে তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য।’’
advertisement
হেরিটেজ বিল্ডিং-এ তৈরি হবে এক অনন্য মিউজিয়াম — যেখানে থাকবে দার্জিলিংয়ের ট্যুরিজম, টয় ট্রেন আর পাহাড়ি সংস্কৃতির ইতিহাস। শুধু তাই নয়, পাশেই তৈরি হবে আর্ট গ্যালারি, যেখানে স্থানীয় শিল্পীরা তুলে ধরতে পারবেন পাহাড়ের রঙ-রূপ-গল্প। পরিকল্পনা আছে পুরসভার হলকে নতুন করে ব্যাঙ্কোয়েট হল রূপে গড়ে তোলারও, যাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা সম্মেলন আরও সুন্দরভাবে আয়োজন করা যায়। সবচেয়ে নজরকাড়া ভাবনা — হেরিটেজ বিল্ডিংয়ের সামনের অংশে তৈরি হচ্ছে এক সেলফি পয়েন্ট, অনেকটা স্কাইওয়াকের আদলে। পাহাড়ি শহরের বুকে দাঁড়িয়ে পর্যটকরা মেঘের সঙ্গে ছবি তুলতে পারবেন, আর স্মৃতিতে ভরিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন শৈল শহরের নতুন রূপ।
তবে এই সব কিছুই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সামান্য চার্জ ধার্য করা হবে। মিউনিসিপালিটি আশাবাদী, পর্যটকরা খুশি মনেই সেই চার্জ মেনে নেবেন– কারণ এই নতুন পরিকাঠামো পাহাড়ের ঐতিহ্যকে আরও রঙিন ও টেকসই করে তুলবে।
আরও পড়ুন: ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৭৫,০০০ টাকার স্কলারশিপ, কী কী সুবিধা? কারা পাবেন? সময় থাকতে আবেদন করুন
চেয়ারম্যান দীপেন ঠাকুরী জানিয়েছেন, ‘‘যারা দার্জিলিং ঘুরতে আসেন, তারা এতদিন টয় ট্রেন, চা বাগান আর পাহাড়ি হাওয়াতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন। এবার মিউনিসিপালিটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেবে আরও এক নতুন দিগন্ত — এক জায়গায় থাকবে ইতিহাস, সংস্কৃতি আর পাহাড়ি শিল্পকলার সমাহার।’’
পর্যটকদের কাছে শৈল শহর দার্জিলিং নতুন রূপে ধরা দেবে — চা বাগানের গন্ধ আর মেঘের ছায়া পেরিয়ে এবার ইতিহাস, শিল্প আর আধুনিকতার সেতু বাঁধবে এই উদ্যোগ। পাহাড়ের বুকে গড়ে উঠছে নতুন গল্প — যেখানে অতীত আর বর্তমান মিলে গড়বে দার্জিলিং-এর আগামীর ছবি।
ঋত্বিক ভট্টাচার্য