কোচবিহার কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের শস্যের বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ ড: সূরজ সরকার জানান, “বীজ রোপণের আগে বীজ ভাল করে শোধন করে নেওয়া উচিত। যাতে তাতে কোন ফাঙ্গাস বা ভাইরাস না থাকে। এছাড়া চারার বেড তৈরি করার সময় মশারির নেট ব্যাবহার করলে রোগ পোকার আক্রমণ কম হয়। ফুলকপি চাষের জন্য মাঝারি উর্বর মাটিতে হেক্টর প্রতি ৫-৭ টন গোবর সার প্রয়োগ করা প্রয়োজন। এছাড়া পচা গোবর জমি তৈরির সময় ৫০ কেজি দিতে হবে। ২৫ থেকে ৩০ দিন বয়সের চারা সারি থেকে সারি ৫০ সে.মি. (২০ ইঞ্চি) এবং চারা থেকে চারা ৪০ সে.মি. (১৬ ইঞ্চি) দূরত্ব বজায় রেখে রোপণ করতে হবে। প্রথম ও দ্বিতীয়বার সার উপরি প্রয়োগের পর পরই সারির দু’পাশের মাটি আলগা করে গাছের গোড়ায় তুলে দিতে হবে।”
advertisement
এছাড়াও তিনি আরোও জানান, “পোকা গাছের কচি পাতা, ডগা ও পাতা খেয়ে নষ্ট করে ফেলে। ফুলকপির সবচেয়ে ক্ষতিকর পোকা হলো লেদা পোকা। ফুলকপির রোগের মধ্যে ঢলে পড়া এবং মূলের গিট রোগ উল্লেখযোগ্য। এর আক্রমণে রোদের সময় গাছ পাতা ঢলে পড়ে। শিকড় ফুলে স্থানে স্থানে মোটা হয়। ফুলকপি রোগের মধ্যে ঢলে পড়া এবং মূলের গিট রোগ উল্লেখযোগ্য। এর আক্রমণে রোদের সময় গাছ ঢলে পড়ে। শিকড় ফুলে স্থানে স্থানে মোটা হয়ে যায়। মূল গিট রোগ এক প্রকার নেমাটোড দ্বারা সৃষ্টি। এতে মূলে গিট দেখা দেয়। মাটিতে চুন প্রয়োগ করলে এর থেকে সহজে উপকার পাওয়া যায়।” এই সমস্ত বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখলেই এই চাষ থেকে লাভ পাওয়া যাবে খুব সহজেই।
Sarthak Pandit