জানা গিয়েছে, কুরবানীর ঈদ উপলক্ষে মসজিদে নামাজ পড়তে যান জলেল শেখ (৬৫)। নামাজ পড়া অবস্থায় পিছন থেকে তারই চাচাত ভাই বাবুল আলী (৩০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় কোপ মারে। এরপরই সেখানে লুটিয়ে পড়েন বৃদ্ধ জলেল শেখ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মসজিদ প্রাঙ্গনে। ঘটনা দেখে সেখানে ঈদের নামাজ পড়তে আসা অন্যান্য ব্যক্তিরা সেই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে নিয়ে যান স্থানীয় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে স্থানান্তরিত করেন চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বর্তমানে আশঙ্কা জনক অবস্থায় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই বৃদ্ধ।
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, “অন্যদের মতই জালেল শেখও শনিবার সকালে কুরবানীর ঈদের নামাজ পড়তে মসজিদে যান। নামাজ পড়াকালীন অবস্থায় পেছন থেকে হঠাৎই ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় কোপ মেরে খুনের চেষ্টা করে তারই প্রতিবেশী এক আত্মীয় বাবুল আলি। পুরনো বিবাদের জেরেই খুনের চেষ্টা বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।”
এদিকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত বাবুল আলীকে। ঘটনায় জখম বৃদ্ধের স্ত্রী হাজেরা বিবি বলেন, স্বামীকে আগে থেকেই খুনের হুমকি দিয়ে আসছিল অভিযুক্ত বাবুল আলী। এরপর আজ ঈদের দিন খুনের পরিকল্পনা করে অভিযুক্ত বাবুল আলী। ঈদের নামাজ পড়ার সময় তার স্বামীকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলায় কোপ মেরে খুনের চেষ্টা চালায় বাবুল আলী। আশঙ্কা জনক অবস্থায় রয়েছেন স্বামী জলেল শেখ। এই ঘটনায় অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরাও যুক্ত রয়েছেন। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আহতর স্ত্রী।”
জখম বৃদ্ধের এক আত্মীয় বলেন, “সম্পর্কে আহত জলেল শেখ এবং অভিযুক্ত বাবুল আলী চাচাত ভাই। প্রায়ই দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ লেগে থাকত। কিছুদিন আগে কথা কাটাকাটির জেরে জলেল শেখের সঙ্গে বচসা বাধে অভিযুক্ত বাবুল আলীর। সেই সময় অভিযুক্ত বাবুল আলী জলেল শেখকে খুন করার হুমকি দেয়। এরপর থেকে বৃদ্ধ জলেল শেখ নামাজ পড়তে যেতেন না। আজ কুরবানীর ঈদ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই অন্যদের মত তিনিও এদিন নামাজ পড়তে যান। সেই সময় নামাজ পাঠ চলাকালীন জলেল শেখ কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করে বাবুল আলী।” এদিকে এই ঘটনায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ পৌঁছে অভিযুক্ত বাবুল আলিকে গ্রেফতার করেছে। যদিও ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত বাবুল আলীর পরিবারের সদস্যরা।






