Indian Army: ব্রাহ্মস অতীত, আরও ভয়ঙ্কর মিসাইল কিনবে ভারত! ৭৪,০০০ KMPH গতি, কাঁপবে চিন-বাংলাদেশ-পাকিস্তান

নয়াদিল্লি: পাহলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত যেভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তাতে পাকিস্তানের পাশাপাশি সমগ্র বিশ্বের কাছেও বার্তা গিয়েছে। ভারত অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে POK এবং পাকিস্তানে থাকা সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করেছে এবং তারপর ১১টি এয়ারবেসকে টার্গেট করে আক্রমণ চালায়। অপারেশন সিঁদুরে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। (Representative Image)

কোটি কোটি দেশবাসীর পাশাপাশি পুরো বিশ্ব ব্রহ্মোসের শক্তি এবং শত্রুদের ধ্বংস করার ক্ষমতা দেখেছে। অপারেশন সিঁদুরের পরে একাধিক দেশ ভারত থেকে ব্রাহ্মস কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ভারত এবার অস্ত্রাগাকে ব্রাহ্মসের চেয়েও ভয়ঙ্কর মিসাইল যুক্ত করতে চলেছে। নয়াদিল্লি, রাশিয়া থেকে R-37M হাইপারসনিক এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল কেনার কথা বিবেচনা করছে।

ভারতকে রাশিয়ার তরফ থেকে R-37M এয়ার টু এয়ার হাইপারসনিক মিসাইল সরবরাহের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র সরাসরি মিসাইল সরবরাহই নয় প্রযুক্তির আদানপ্রদানের মাধ্যমে ভারতেও তৈরি হতে পারে এই মিসাইল। রিপোর্ট অনুযায়ী, হিন্দুস্তান এয়ারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) উৎপাদনে সহযোগী হতে পারে।

R-37M মিসাইলের বিশেষত্ব হল এর রেঞ্জ প্রায় ৪০০ কিমি এবং যা এটিকে বিশ্বের দীর্ঘতম দূরত্বের হাওয়া থেকে হাওয়ায় মার করার মিসাইলগুলির মধ্যে একটি হিসাবে গণ্য করা হয়। এর লক্ষ্য প্রধানত হাই-ভ্যালু এরিয়াল অ্যাসেটস (যেমন AWACS, AEW&C এবং ট্যাঙ্কার বিমান) কে বড় স্ট্যান্ড-অফ ডিস্ট্যান্স থেকে নিশানা করা হয়, যার ফলে শত্রুর এয়ার ডিফেন্স নেটওয়ার্ককে দুর্বল করা যায়। Representative Image

এটি বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক মিসাইল হিসাবে বিবেচিত হয় Beyond Visual Range (BVR) শ্রেণীর ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে। BVR বৈশিষ্ট্যের কারণে, এটি শত্রুদের রাডারে ধরা পড়ে না, আতর্কিতে আক্রমণে সক্ষম। আক্রমণের পরিসীমা ৩০০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার। R-37M মিসাইলের সাহায্যে ভারতীয় বায়ুসেনার ফাইটার জেট পাকিস্তানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ শহর ধ্বংস করতে পারবে। ইসলামাবাদ, লাহোর, করাচি এবং রাওয়ালপিন্ডি বায়ুসেনার আওতায় আসবে। ভারতীয় বায়ুসেনা R-37M মিসাইল পেলে পাকিস্তান এবং চিনের উপর চাপ বাড়বে। Image: Wikipedia

R-37M বনাম BrahMos মিসাইলR-37M এবং BrahMos ক্রুজ মিসাইলের মধ্যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পার্থক্য রয়েছে। BrahMos-এর প্রাথমিক ভ্যারিয়েন্টের পরিসীমা ছিল ২৯০ কিলোমিটার। পরে, এর পরিসীমা বাড়িয়ে ৪০০ থেকে ৪৫০ কিলোমিটার করা হয়। BrahMos সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের গতি শব্দের গতির ২.৮ গুণ (Mach 2.8), যা এটিকে আরও বিপজ্জনক করে তোলে। অন্যদিকে, R-37M একটি হাইপারসনিক এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল। এটি Mach 6 অর্থাৎ শব্দের গতির ৬ গুণ গতিতে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। এইভাবে R-37M একটি হাইপারসনিক মিসাইল। এই মিসাইলের পরিসীমা ৩০০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার। R-37M ৭৪০০ কিলোমিটার গতিতে শত্রুকে ধ্বংস করতে পারে।