আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে ২০২১ সালের ১৯ শে জুন কালিয়াচকের পুরাতন ১৬ মাইলে একটা ঘরের মেঝে থেকে একই পরিবারের ৪ সদস্যের পচা গলা দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ছিল ওই বাড়ির ছোটো ছেলে মহম্মদ আশিফ। জানা যায় আশিফ তার দাদা মহাম্মদ আরিফকেও খুনের ছক কষেছিল। তারপর প্রায় তিন মাস সেই বাড়িতেই একাই থাকত আশিফ। পরে আরিফ থানার দ্বারস্থ হতেই খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। বাড়ির বড় ছেলে মহম্মদ আরিফকে মূল সাক্ষী করে পুলিশ। বাবা-মা বোন ঠাকুমাকে খুনের ঘটনার মামলা তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রায় ৩ বছর পর এই দিন আদালতে সেই ঘটনার সওয়াল জবাব চলে।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
আদালতে সরকারি পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানান,“বাড়ির ছোট ছেলে মহম্মদ আশিফ সে ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তার বাড়িতে বাবা, মা, বোন, ঠাকুমাকে পরিকল্পনা করে খুনের পরে সূর্যের আলোহীন ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখে। সেই বাড়িতে আবার আশিফ কয়েক মাস ধরে বসবাস করে। এমন ঘটনা অত্যন্ত বিরলতম। তাই আদালতের কাছে আসামীর ফাঁসির সাজা চাওয়া হয়েছিল। বিচারক তা মঞ্জুর করেছেন।”
আশিফের পক্ষের আইনজীবী মহম্মদ নাসের আলি জানান, “ফাঁসির বিকল্পে আসামীর যাবজ্জীবন সাজার দাবি জানানো হয়েছিল। আদালত ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে। বিচারক আসামীকে আপিল আদালত হাইকোর্টে যাওয়ার জন্যে সময় সীমাও বেধে দিয়েছেন।”
আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও ফাঁসির সাজা শোনার পরে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি মহাম্মদ আশিফ। পুলিশি পাহারায় তাকে মালদহ জেলা সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০২১ সালের ১৯ জুন বাড়ির মেঝে থেকে আসামী আশিফের বাবা জাওয়াদ আলি, মা মাইরা বিবি, বোন আরিফা খাতুন এবং ঠাকুমা আলেকজান বেওয়ার পচা গলা দেহ উদ্ধার হয়। জানা গেছে, বাড়ির সমস্ত সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নেয় আশিফ। সেই টাকা তার বাবা ফেরত চাওয়াতে পরিবারের সদস্যদের খুনের পরিকল্পনা করে বলে দাবি পুলিশের। ঘটনার ৪ বছরের মধ্যে এই দিন সাজা ঘোষণা হয়।
জিএম মোমিন