চকের ওপর দুর্গা, গণেশ, শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি এঁকে তাক লাগিয়েছেন তিনি। সোমা মুখার্জি শুধু চকের উপর শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি নয়, এর আগেও তিনি অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সামগ্রিক তৈরি করেছে। যেমন শার্টের বোতামের ওপর ছোট্ট গোপালের মূর্তি, একটি দেশলাই কাঠির ওপর মা দুর্গার মূর্তি, ইনজেকশন টেম্পেলের মধ্যে ছোট গান্ধি মূর্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজ করেছেন তিনি। যার মধ্যে চকের ওপর শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি হল অন্যতম। ছোট চকের ওপর কৃষ্ণের জন্ম, বেড়ে ওঠা সবটা দেখিয়েছেন তিনি।
advertisement
সোমা মুখার্জি কোচবিহার শহরের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। সেখানে তিনি, তার স্বামী এবং তার ছেলে রয়েছেন। তার স্বামী উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভলপমেন্ট অফিসার এবং তার ছেলে এখনও পড়াশোনা করছে। এই চকের দেব দেবীর মূর্তি তৈরি করতে সোমা মুখার্জির প্রায় ২০ থেকে ২২ দিন সময় লেগে যায়। দেব দেবীর মূর্তি তৈরি করতে জল, রং, মডেলিং ক্লে এবং একটি চক ব্যবহার করেন তিনি। শুধুমাত্র এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সামগ্রি তৈরি করার জন্য তার দুটো রেকর্ড রয়েছে। যার মধ্যে একটি হল আন্তর্জাতিক এবং একটি জাতীয় স্তরের স্বীকৃতি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শিল্পী সোমা মুখার্জী জানান, “কংসের কারাগারে বন্দী থাকাকালীন দেবকীর গর্ভে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়। পরবর্তীকালে বসুদেব শ্রীকৃষ্ণকে বাঁচানোর জন্য কংসের কারাগার থেকে শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে বেরিয়ে যায়। তবে মাঝপথে একটি নদী আসে। এসব একটি চকে তুলে ধরা হয়েছে।” এ বিষয়ে তিনি আরও জানান, “আমার এই সমস্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আঁকা ভাল লাগে, কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াই নিজে থেকেই এই আঁকা করে থাকি। সাংসারিক কাজকর্ম শেষে এই কাজ করে থাকি।”





