সমাজসেবী শঙ্কর রায় জানান,”তাঁর এই যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৫ সাল থেকে। প্রথমে তাঁর পাড়ার এক জেঠুর রক্তের প্রয়োজনে রক্ত দান করার বিষয় থেকে এই কর্মকাণ্ড শুরু। তারপর আর ফিরে দেখেননি। একের পর এক কাজ করে গিয়েছেন সমাজের উপকারের জন্য। মনীষীদের মূর্তি পরিষ্কার করেন তাঁদের জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী এলেই। প্রচুর মুমূর্ষ রোগীদের অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন। প্রতিবছর সান্তা ক্লজ সেজে সমাজ সচেতনতার বার্তা দিয়ে থাকেন তিনি। এছাড়া বর্তমানে বাচ্চাদের বই মুখি করতে বই মেলায় তিনি বিনামূল্যে বই বিলি করছেন।”
advertisement
তিনি আরও জানান,”তাঁর এই কাজে বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন মতামত তিনি পেয়ে থাকেন। কেউ বলে তিনি নাকি পাগল হয়ে গিয়েছেন। কেউ বলে তাঁর নিঃস্বার্থ কর্মকাণ্ড সমাজকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। আবার কেউ বলে এই সমস্ত তিনি করে থাকেন শুধুই লোক দেখানোর জন্য। তবে তাঁর এইসব কিছুই শুনতে ইচ্ছে করে না। তিনি মনে করেন যতদিন তাঁর কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে, ততদিন এই কাজ করে যাবেন। এতে যদি সমাজ কিছুটা উন্নত হয়ে ওঠে। সেটাই তাঁর বড় প্রাপ্তি।”
আরও পড়ুনঃ Jalpaiguri News: ভারতীয়দের জমি, অথচ চাষ করতেন বাংলাদেশিরা! এবার BSF যা করল, একেই বলে উচিত শিক্ষা
যদিও গাড়ি চালকের সমাজ সংস্কারের জন্য এমন নিঃশব্দ বিপ্লব বহু মানুষের নজর আকর্ষণ করে। দীর্ঘ সময় ধরে বহু মানুষ নিঃস্বার্থভাবে তাঁর পাশে এসে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। তবে অক্সিজেন ম্যান শংকর বলুন, কিংবা সমাজসেবী শংকর। এই মানুষটির নিঃস্বার্থ এবং নিঃশব্দ এই বিপ্লব সমাজের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক অনন্য বার্তা দিচ্ছে। এর ফলে সমাজের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরোও অনেকটাই উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠছে সমাজ সংস্কারের জন্য।
Sarthak Pandit