আলিপুরদুয়ার স্টেশনে ট্রেন নিয়ে ঢোকার পর, নিজের চেম্বারে গিয়ে নিতেন খানিক বিশ্রাম। তারপরেই নিয়ম করে সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডা। যারা জুনিয়র তাঁদের বলতেন ট্রেন নিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা। চাকরি জীবনের শেষ দিনেও শিলিগুড়ি থেকে বামনহাট এক্সপ্রেস নিয়ে তিনি আলিপুরদুয়ার জাংশনে আসেন। নিজের উপস্থিতি জানান কম্পিউটারে। তিনি স্টেশনে আসতেই তার সহকর্মীরা তাকে ঘিরে ধরেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ৫-৬ ইঞ্চি লম্বা, ওজনও কম নয়! বাঁশির মত কাজ করলেও এর কিন্তু নাম বাঁশি নয়
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তার গলায় পরিয়ে দেন মালা। মাথায় পরান পাগড়ি। ডাকা হয়েছিল কাজল চন্দের পুরো পরিবারকে। এসেছিলেন রেলের আধিকারিকরা। এই প্রথম আলিপুরদুয়ার ডিভিশনে কোনও লোকো পাইলটকে এমন বিদায় সম্বর্ধনা দেওয়া হল। লোকো পাইলট কাজল চন্দ গিয়েছেন বিভিন্ন রেল দুর্ঘটনার উদ্ধার কাজে। এছাড়াও একাধিক হাতিকে রেল দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করেছেন তিনি, সঠিক সময়ে ট্রেন থামিয়ে। যে কোনও সময় পাওয়া যেত বলেই জানা যায়।
বিদায় সম্বর্ধনাতে যোগ দিয়ে কাজল চন্দ জানান, “লোকো পাইলটকে হতে হবে ধীর, স্থির। কাজ থেকে ফিরে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। অধিকারিকদের কথা শুনে চলতে হবে। তাহলেই সফলভাবে কাজ করা সম্ভব।”
Annanya Dey





