চাষে আগ্রহী ব্যক্তি রূপম পাল জানান, “কোচবিহারে এই কালো আখের চাষ করা হয় না। এই আখ গুলোর বাইরের অংশ দেখতে কালো কিংবা খয়েরি হয়ে থাকে। লম্বায় সাধারণত ১২ থেকে ১৬ ফুট হয়ে থাকে এই আখ। দেশীয় আখের মতো হলেও এর বেশ কিছু ভিন্নতা রয়েছে। এই আখের কাণ্ড কিছুটা নরম হয়, রস বেশি হয় এবং মিষ্টি বেশি হয়। তাই ফিলিপিন্সের এই কালো জাতের আখ বা ‘ব্ল্যাক সুগার কেইন’ চাষ করেছেন তিনি। এই আখ চাষ করে কৃষক স্বল্প সময়ে এবং স্বল্প খরচে বাণিজ্যিকভাবে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন। অন্যান্য ফসলের চেয়ে এই আখ চাষ অনেক বেশি লাভজনক।”
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যের আপিল খারিজ, ধর্মতলায় সভা করবে বিজেপি! নির্দেশ প্রধান বিচারপতির
তিনি আরোও জানান, “এই আখের আরেকটি বিশেষত্ব রয়েছে। অন্যান্য আখ যেমন এক বছরে বড় হয়। তবে এই আখ চাষ করলে মাত্র ৬ মাসেই বড় হয়ে যায়। এই আঁখে মূলত জৈব গোবর সার ব্যবহার করা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এই আখে কোনরকম পোকামাকড় দেখতে পাওয়া যায় না। শুধুমাত্র কিছুদিন বাদে বাদে ফাঙ্গিসাইট স্প্রে করতে হয়। এছাড়া ১৫ দিন অন্তর গাছের নিচের দিকের বড় পাতা গুলিকে কেটে দিতে হয়।”
আরও পড়ুন: পাহাড়ের খাঁজে ওটা কী প্রাণী? চেনে না কেউ, হার মানল বন দফতরও! তাহলে কি…
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং অধিক লাভজনক এই কালো আখ চাষ করে কৃষক আর্থিক স্বনির্ভর হয়ে উঠিতে পারবেন। সামান্য খরচে অধিক লাভ পেতে হলে এই চাষ করা অনেকটাই বেশি উপকারি। তবে এই চাষ কৃষি দফতরের সহায়তা নিয়ে করলে বেশি লাভ পাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
—– Sarthak Pandit