সবজি বা বুন্দিয়া দিয়ে একটা খাবার পরেই যেন ভরে ফুলেফেঁপে উঠছে পেট। আকারের মত দামও এই লুচির ৩০ টাকা। তবে একটি খেলেই যথেষ্ট। সকাল-বিকেল এই হাতির পায়া লুচি বিক্রি করেই মোটা টাকা আয় করছেন লুচি বিক্রেতারা।
এক লুচি বিক্রেতা জিতেন সিংহ বলেন, “প্রায় ২৫ বছর থেকে লুচির দোকান করছি। পূর্বপুরুষদের মুখ থেকে শুনে আসছি হাতি পায়া লুচি নামটি। তবে এর আসল রহস্যটা জানা নেই। এখানকার এই হাতি পায়া লুচি গোটা জেলায় বিখ্যাত। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন এই লুচি খেতে আসেন।”
advertisement
লুচি খেতে আসা এক ব্যক্তি শ্যামানন্দ পাল জানান, “প্রায় এখানে ঘুরতে আসি। ভাগীরথি নদীতে স্নান করতে এসেছিলাম। শুনেছি এই এলাকায় হাতি পায়া লুচি পাওয়া যায়। তাই এখানে খেতে এসেছি খেয়ে খুব ভাল লাগল।”
অন্য কোথাও নয় একমাত্র এই এলাকাতেই পাওয়া যায় এই হাতির পায়া লুচি। মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের সদুল্লাপুর ভাগীরথী নদী লাগোয়া এলাকায় প্রায় পাঁচ থেকে ছয়টি দোকানে তৈরি হয় এই হাতি পায়া লুচি। জেলায় হাতির পায়া লুচি নামে পরিচিতি পেলেও। এই লুচির নামকরণের আসল রহস্য আজও অজানা অনেকের কাছে।