বন্যপ্রাণ উদ্ধারকারী অর্ধেন্দু বণিক জানান, “পাখিদের পায়ে রিং পরানো বেশ ট্রেডিং একটা বিষয়। অনেকেই পাখিদের পায়ে রিং পরানোর কোথাও ভাবছেন হয়তো। রিং গুলি দুই থেকে তিনটি কারণে পাখিদের পরানো হয়। প্রথমত, কিছু ধরনের রিং দিয়ে পাখিদের ট্রেনিং করানো হয়।
advertisement
পাখির পায়ে রিং পরিয়ে দিন এভাবে
দ্বিতীয়ত, এই ধরনের রিং শুধুমাত্র পাখিদের শনাক্তকরণের জন্যই কাজে লাগে। তৃতীয়ত, এই ধরনের রিং এর মধ্যে মাইক্রোচিপ দেওয়া থাকে। যেখান থেকে পাখির সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া সম্ভব স্ক্যান করার মাধ্যমে। তাই এই রিং গুলির দামের ও পার্থক্য দেখা যায়।”
আরও পড়ুন – Gangarati: ৩,০০০ প্রদীপ জ্বালিয়ে গঙ্গারতি, ১০০০ ভক্তকে প্রসাদ বিতরণ, মহাকুম্ভের পুণ্য আবহে বিরাট উৎসব
তিনি আরোও জানান, “তবে এই ধরনের রিং গুলির বেশ কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। মূলত এই রিংগুলি পাখি ছোট থাকার সময় পায়ে পরিয়ে দেওয়া হয়। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাখি বড় হলেও, রিং এর মাপ বড় হয় না। ফলে রিংগুলি পাখির পায়ে সেটে বসে যায়। যেখান থেকে পাখির পায়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ক্ষত গুলি পাখির জীবন হানি পর্যন্ত ঘটিয়ে থাকে। তাই অবশ্যই পাখির পায়ে রিং পরানোর আগে কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তির সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি।”
বাড়িতে পোষার জন্য বিদেশি পাখি অনেকেই এনে থাকেন বাড়িতে। তাই মূলত বিদেশী পাখিদের মধ্যেই এই রিংগুলি দেখতে পাওয়া যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাখির এই রিংগুলি ব্রিডারদের কাছ থেকেই পরিয়ে আসে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই রিংগুলি পরেও পরানো সম্ভব। তবে অবশ্যই রিং এর ক্ষতিকারক দিকগুলি থেকে পাখিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে সব সময়। না হলে রিংয়ের কারণেই অনেকটা ক্ষতি হতে পারে পাখির।
Sarthak Pandit





