তার হাতের তৈরি এই ক্ষীরের রোল খেতে দোকানের সামনে ভিড় জমাচ্ছেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মিষ্টি প্রেমীরা। রসগোল্লা, চমচম, সন্দেশ, কানসাট, রসকদম্ব ইত্যাদি মিষ্টির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চাহিদা বাড়ছে এই ক্ষীর রোলের। পুজোর মরশুমে অন্যান্য নামীদামি মিষ্টির সঙ্গে ব্যাপক পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে ক্ষীর রোল বলে দাবি মিষ্টি প্রস্তুতকারক পিকলু ঘোষের।
advertisement
মিষ্টি প্রস্তুতকারক পিকলু ঘোষ জানান, “এই ক্ষীরের রোল তৈরি করতে একটু বেশি সময় লাগে। সারা বছর কমবেশি চাহিদা থাকলেও পুজোর মরশুমে এই মিষ্টির চাহিদা বেশি। আগে ৩০০ থেকে ৪০০ পিস বিক্রি হত এখন কোনদিন ৫০০ তো আবার কোনদিন ১০০০ পিস ক্ষীরের রোল বিক্রি হয়ে যায়। আগে থেকে অনেক চাহিদা বেড়েছে।”
এক মিষ্টিপ্রেমী সুমিত সাহা রায় জানান, “অন্যান্য রোল বা মিষ্টি খেয়েছি তবে এটি সম্পূর্ণ আলাদা। এখানকার ক্ষীরের রোল খুব বিখ্যাত। মাত্র ১০ টাকায় এত সুস্বাদু মিষ্টি আর কোথাও খাইনি। প্রায় প্রতিদিন এখান থেকে একটি হলেও ক্ষীরের রোল নিয়ে যায়। পুজোর আগে এই মিষ্টির চাহিদা বাড়ছে দেখে ভাল লাগছে।”
ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে পুজোর মরশুম। গণেশ চতুর্থীর পর এবার প্রস্তুতি তুঙ্গে আসন্ন দুর্গা পুজার। পুজোর পাশাপাশি প্রস্তুতি থেমে নেই মিষ্টি ব্যবসায়ীদের। জেলাবাসীকে নিত্যনতুন মিষ্টির জোগান দিতে প্রস্তুতি শুরু করেছেন মিষ্টি প্রস্তুতকারকরা। তবে এবারে পুজোর আগে নামিদামি মিষ্টির পাশাপাশি চাহিদা তুঙ্গে ক্ষীর রোলের। তাই জেলাবাসীর চাহিদা পূরণে ক্ষীর রোল বানানোর প্রস্তুতি জারি রয়েছে মিষ্টির প্রস্তুতকারকদের।