আরও পড়ুন: নারী দিবসে পুতুল, সীমা, দুর্গাদের কুর্নিশ এই জেলার পুলিশের
মূলত মাটির ক্লাস, ধুনুচি, প্রদীপ, সহ বিভিন্ন মাটির পাত্র তৈরি করে থাকেন কুমোরেরা। নিত্য প্রয়োজনীয় এই সমস্ত জিনিসগুলির বাজারে চাহিদা ব্যাপক। গ্রীষ্মের মরশুমে মাটির কলসিরও চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। এই সমস্ত জিনিসগুলি তৈরি করতে এখন আর তেমন সমস্যায় পড়তে হচ্ছেন না কুমোরদের। কারণ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইলেকট্রিক চাকা দেওয়া হচ্ছে। এই ইলেকট্রিক চাকার সাহায্যে খুব অল্প সময়েই বেশি পরিমাণ মাটির সামগ্রী তৈরি হচ্ছে। সেই তুলনায় খরচ কম। এতে শারীরিক শক্তিও কম লাগছে। কাজ করে অনেকটাই মজা পাচ্ছেন কুমোরেরা। ইন্দ্রমোহন পাল নামে এক মৃৎশিল্পী বলেন, এই যন্ত্রের সাহায্যে কাজ করতে আমাদের অনেক সুবিধা হচ্ছে। সময় কম লাগছে, উৎপাদন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলেকট্রিকের সাহায্যে চলছে এই চাকা। আমাদের পরিশ্রম কম হচ্ছে।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এই ইলেকট্রিক চাকা বহনযোগ্য। অর্থাৎ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে কাজ করা যায়। এতে করেও অনেকটাই সুবিধা হয়েছে কুমোরদের। আকারে ছোট এই যন্ত্রটি ইলেকট্রিকের সাহায্যে চলে। বাড়িতে বিদ্যুৎ থাকলেই এই যন্ত্র যে কেউ চালিয়ে মাটির পাত্র তৈরি করতে পারবেন। মালদহ জেলা শিল্প কেন্দ্রের আধিকারিক মানবেন্দ্র মণ্ডল বলেন, বিভিন্ন কুমোরটুলি ঘুরে আমরা দেখেছিলাম খুব কষ্ট করে চাকা ঘোরাতে হচ্ছে। সেই সময় আমরা ইলেকট্রিক চাকা প্রদান করার পরিকল্পনা করি। এতে অনেক সহজেই কাজ হচ্ছে। পরিশ্রম কম হচ্ছে, উৎপাদন বৃদ্ধি হচ্ছে। আগামীতে আরও প্রদান করার পরিকল্পনা রয়েছে।
হরষিত সিংহ