আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে হোটেলের ছাদ থেকে ঝাঁপ ভারতীয়ের, আহতদের প্রাণ বাঁচাতে খুলল সীমান্ত
বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হাতে দেশের ক্ষমতা। এমন পরিস্থিতিতে দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে আমদানি রফতানি বন্ধ করা হয়েছে দেশের সমস্ত বন্দরগুলি দিয়ে। গত কয়েকদিন ধরে মহদিপুর বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি প্রায় বন্ধ রয়েছে। মহদিপুর স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হয়ে থাকে মূলত টি শার্ট, শাড়ি লুঙ্গি, জুট ব্যাগ, প্ল্যাস্টিকের চেয়ার। দেশের পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমদানি রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় এগুলি আর আমদানি সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে লোকসানের মুখে পড়েছেন এদেশের আমদানি করেন যাঁরা। ভারতীয় আমদানিকারক তাপস কুন্ডু বলেন, নিয়মিত এই বন্দর দিয়ে শাড়ি, লুঙ্গি, টি-শার্ট-সহ চটের ব্যাগ আমদানি হয়ে থাকে। আপাতত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অবস্থা খারাপ। তাই, আমদানি বন্ধ হয়েছে।
advertisement
দীর্ঘদিন আমদানি বন্ধ থাকলে ভারতের বাজারে এই সমস্ত সামগ্রীগুলির কালোবাজারি শুরু হতে পারে।দাম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকী প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সামগ্রী আমদানি শুল্ক বাবদ ভারতের রোজগার হয়ে থাকে এই স্থল বন্দর দিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। প্রতিদিন সেই টাকাও লোকসান হচ্ছে ভারত সরকারের। ভারতীয় আমদানিকারকদের আশঙ্কা, দীর্ঘদিন এই সমস্ত সামগ্রীগুলির আমদানি বন্ধ থাকলে কালোবাজারি শুরু হবে। এতে করে জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে, আমদানিকারক থেকে রফতানিকারকদের অনুমান আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে খুলে দেওয়া হতে পারে আমদানি রফতানির জন্য বন্দরগুলি।
হরষিত সিংহ