শিলিগুড়ির আপার বাগডোগরায় (Upper Bagdogra) বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। যা ভাবাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদেরও। লাগোয়া পাহাড়ি এলাকা দুধিয়ায় সংক্রমণ আগেই ছড়িয়েছিল। পুজোর পর থেকে আপার বাগডোগরা এলাকায় বংশবৃদ্ধি হচ্ছে ডেঙ্গু মশার। মূলত এখানকার হোচিমিন নগর, জ্যোতিনগর, বিবেকানন্দ পল্লী, স্ট্যালিন নগরে সংক্রমণ বেশি।
আরও পড়ুন- রেল লাইনে বড়সড় ফাটল, বরাতজোরে দুর্ঘটনা এড়ালো ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেস
advertisement
প্রায় প্রতিটি ঘরেই জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে। অনেকে সেরে উঠলেও আক্রান্তের গ্রাফ থামেনি। এলাকায় জমা জল থেকেই ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে বলে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি। মূলত পরিত্যক্ত টায়ার, জঞ্জালের জেরে ডেঙ্গু মশার উৎপাত বাড়ছে। আর তাই সংক্রমণও ছড়াচ্ছে। খুব কম সময়ের মধ্যে আপার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ জন। ঘরে ঘরে বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। জ্বর নিয়ে দিন কয়েক ভুগতেই রক্ত পরীক্ষা করাকেই আসছে পজিটিভ রিপোর্ট।
নতুন করে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। যা নিয়ে চিন্তায় স্থানীয়রাও। এলাকাবাসীর দাবি, নিয়মিত নর্দমা যেমন পরিষ্কার করা হয় না। তেমনি এক শ্রেণীর মানুষের অসচেতনতাও এর জন্যে সমান দায়ী। আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে বাগডোগরা গ্রামীন হাসপাতালে। এলাকায় নজরদারী বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের সদস্যরা। প্রতিদিনই এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার কাজ চালাচ্ছে তারা। মশা মারতে চলছে স্প্রেয়িংও। সম্প্রতি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীকের কাছে রেখেছে।
আরও পড়ুন- শিলিগুড়ির তনুশ্রী যেন রূপোলি পর্দার 'শবরী'! মহিলা পুরোহিতের হাতে সম্পন্ন প্রথম বিয়ে
দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না এলে আগামীতে বিপদ বাড়বে। পুর এলাকাতেও বাড়ছে সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই একাধিক ওয়ার্ডে মিলেছে ডেঙ্গুর জীবাণু। সতর্ক শিলিগুড়ি পুরসভা। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে পুর কর্তৃপক্ষ। পুর প্রশাসক গৌতম দেব জানান, সচেতনতা প্রচার চালানো হবে শহরজুড়ে। মশা মারতে কামানও দাগছে পুর কর্মীরা।
পার্থ প্রতিম সরকার