জানা গিয়েছে, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে পুজোর আগে বিভিন্ন মৃৎশিল্পীর কাজ দেখতে দেখতেই ভাস্করের এই কাজের প্রতি ভালবাসা জন্মায়। এরপর থেকে অল্প-বিস্তর মূর্তি বানানোর চেষ্টা শুরু করেন তিনি। তারপর থেকেই তিনি প্রতি বছর মূর্তি বানিয়ে তাঁর শিল্পীসত্তাকে ফুটিয়ে তোলেন। শহরের বেশ কিছু পুজো মণ্ডপ থেকে ইতিমধ্যে বরাত পেলেও তিনি তা ফিরিয়ে দিয়েছেন। শুধুমাত্র দুর্গা প্রতিমাই নয়, সারা বছরই তিনি মাটির মূর্তি-সহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করে থাকেন।
advertisement
ভাস্কর জানান, ছোটবেলা থেকেই শিল্পের প্রতি তাঁর ভালবাসা। স্কুল জীবনে যখন বাড়ি ফিরতেন, তখন দুর্গাপুজোর সময় বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে গিয়ে মৃৎশিল্পীদের প্রতিমা তৈরি দেখতেন। এখান থেকেই তাঁর সেই কাজের প্রতি ভালবাসা বাড়ে। ইচ্ছে জাগে নিজে হাতে তৈরি করার। তারপর থেকে প্রতি বছর দুর্গা পজোএলেই তৈরি করে ফেলেন এক চালার দুর্গা প্ৰতিমা। সঙ্গে লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী এবং তাঁদের বাহনরা। যা রেখে দেন বাড়িতেই।
ভাস্করের বাড়িতে গেলেই দেখা মিলবে নিজের হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের ঘর সাজানোর জিনিস। যা অতি সহজেই সকলকে আকৃষ্ট করবে। প্রতি বছরই বিভিন্ন ক্লাব কিংবা বাড়ির পুজোতে প্রতিমা তৈরির বরাত আসলেও, ভাস্কর শুধুমাত্র নিজের শখের জন্যই প্রতিমা বানান। এমনকি ভবিষ্যতে নিজের শিল্পকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য তাঁর।
সুস্মিতা গোস্বামী