দোকানের গ্রাহক যতীন বর্মন জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে এই মানুষেরা একেবারেই সামান্য টাকায় চুল, দাড়ি কেটে থাকেন। বর্তমানের আধুনিক যুগে মানুষ আধুনিক সেলুন এবং চুল দাড়ি কাটার দোকানে বেশি যেতে পছন্দ করেন। তবে সেখানে খরচ হয় অনেকটাই বেশি। তাইতো বহু মানুষ সামান্য কিছু টাকা বাঁচাতে এই মানুষগুলোর কাছেই ছুটে আসেন বারংবার। এছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাড়িগুলিতে অনুষ্ঠানের দিনে নাপিতের প্রয়োজনে এই মানুষগুলির ডাক পড়ে। তাইতো বর্তমান সময় শুধুমাত্র গ্রামীণ হাটগুলিতেই এই মানুষগুলির দেখা মেলে।”
advertisement
আরও পড়ুন: মেনে চলুন এই ৬ টা সহজ টিপস, দীর্ঘদিন সুস্থ থাকবে লিভার-ইনটেস্টাইন,হজমের সমস্যা কী ভুলেই যাবেন
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ফুটপাথের নাপিত রঘুনাথ ঠাকুর এবং রমণী শীল জানান, “আগে প্রচুর মানুষ তাঁদের কাছেই চুল দাড়ি কাটাতে আসতেন। তবে বর্তমানে সেই সংখ্যা কমেছে অনেকটা। আগে বিভিন্ন শহরের এলাকাতেও তাঁরা কাজ করতে যেতেন। তবে বর্তমান সময়ে তাঁরা আর শহরাঞ্চলে খুব একটা যান না। দীর্ঘ সময় ধরে গ্রামাঞ্চলের হাটগুলিতেই তাঁরা নিজেদের আস্তানা করে নিয়েছেন। এখানে বহু মানুষ তাঁদের কাছে চুল, দাড়ি কাটাতে আসেন। দুটো পয়সা রোজগারের আশায় হাটের দিনগুলিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁরা বসে থাকেন রাস্তার পাশে ফুটপাথে। তবে ধীরে ধীরে তাঁদের পেশায় মানুষ কমছে অনেকটাই।”
আরও পড়ুন: ব্য়বসায় লোকসানের কথা ভুলে যান, ফুলের গাছ লাগিয়েই আসবে প্রচুর টাকা
ধীরে ধীরে আধুনিকতা যেভাবে বেড়ে উঠছে। সেই পরিস্থিতিতে ভবিষ্যৎ দিনে এই মানুষদের আর দেখতে পাওয়া যাবে কিনা। অথবা এই পেশা থাকবে কিনা সেটাই এখন প্রশ্নচিহ্নের সম্মুখে। ধীরে ধীরে এই পেশায় মানুষের সংখ্যা কমে আসছে অনেকটাই। বর্তমান সময়ে শুধুমাত্র গ্রামীণ হাটগুলি ছাড়া আর কোথাও সহজে দেখা মেলে না এই মানুষদের। বেশিরভাগ মানুষ এই মানুষদের চাইতে পছন্দ করেন আধুনিক সেলুন কিংবা চুল, দাড়ি কাটার দোকান।
Sarthak Pandit





