রান্নায় তেজপাতার ভূমিকা অনবদ্য। তেজপাতার গন্ধ রান্নায় আলাদা মাত্রা যোগ করে। তেজপাতা শুধু রান্নায় মশলা হিসাবেই নয়, এটির অনেক ঔষধী গুণও রয়েছে। মুখের অরুচি দূর করা থেকে শুরু করে, মাড়ির ক্ষত সারাতে এবং চর্মরোগ দূর করতেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রসাধনী দ্রব্য তৈরিতেও তেজপাতা ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ শীত পড়তেই আখের রস থেকে গুড় বানানো শুরু, গরম গরম গুড়ের স্বাদ নিতে ভিড় করছেন ক্রেতারা, রইল পদ্ধতি
advertisement
তেজপাতা চাষের জন্য বেলে দো-আঁশ মাটি ভাল। এটি যেখানে চাষ হবে সেই জমি অবশ্যই উঁচু হতে হবে। বেলে দো-আঁশ ছাড়াও প্রায় সব ধরনের মাটিতেই তেজপাতার চাষ করা যায়। বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাসের মধ্যবর্তী সময় তেজপাতা চাষের জন্য আদর্শ। ৮-৯ বছর বেঁচে থাকে এই গাছ।
আরও পড়ুনঃ নিখোঁজের দু’দিন পর পরিত্যক্ত পুকুর থেকে উদ্ধার দেহ, মালদহে যুবকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য
তেজপাতার কারণে গ্রামের মানুষেরা জীবিকার সন্ধান পেয়েছেন। আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট, জটেশ্বর, শিশুবাড়ি এলাকার বেশিরভাগ বাড়িতে রয়েছে তেজপাতার গাছ। এই এলাকা দিয়ে গেলে দেখা যায় তেজপাতার গাছ। তেজপাতা রোদে শুকোতে দিয়েছেন বাসিন্দারা। এরপর এলাকার বাসিন্দারা তা প্যাকেটজাত করে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন। তবে পরিশ্রম রয়েছে এই কাজে প্রচুর। যার কারণে এলাকায় এক ফ্যাক্টরি গড়ে তুলেছেন শিশুবাড়ি এলাকার তেজপাতা চাষিরা নিজেরা মিলেই।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ফ্যাক্টরি থেকে তেজপাতা চলে যায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি ভিন রাজ্যগুলিতে। এলাকার কৃষক নারায়ণ জোতদার জানান, “১৮ বছর ধরে আমাদের বাড়িতে তেজপাতা গাছ রয়েছে। আগে তো নিজেই বাজারে বাজারে বিক্রি করতাম। এখন ফ্যাক্টরি হওয়ার পর পরিশ্রম কমেছে। উৎপাদন বেড়েছে।”





