এই উদ্যোগের আওতায় জঙ্গলের অভ্যন্তরের সংবেদনশীল এলাকাগুলি রয়েছে।অত্যাধুনিক ইনফ্রারেড ট্র্যাপ ক্যামেরা ও হোয়াইট ফ্ল্যাশ ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যার মাধ্যমে দিন ও রাত উভয় সময় সক্রিয় প্রাণীদের গতিবিধি নজরে রাখা সম্ভব হচ্ছে। এই ক্যামেরাগুলির কার্যকর নজরদারির জন্য জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিকে ২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ১০৫টি গ্রিডে ভাগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুরুলিয়া ঘোরার আনন্দ দ্বিগুণ, পাঁচদিনের মেগা আয়োজন! নাচে-গানে জয়চণ্ডী পাহাড়ের কোলে জমাটি উৎসব
advertisement
এই গ্রিড নির্ধারণে ভূপ্রকৃতি, আবাসস্থলের সংযোগ, বন্যপ্রাণীদের চলাচলের পথ এবং মানব কার্যকলাপের বিষয়গুলি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। প্রতিটি গ্রিডে দুটি করে ডাবল-সাইডেড ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যাতে যে কোনও দিক থেকে চলাচলকারী প্রাণীর ছবি ধরা পড়ে। পাশাপাশি চোরা শিকারিদের চিহ্নিত করতেও এই ক্যামেরা বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করছে। বন দফতর সূত্রে জানা যায়, সমস্ত ক্যামেরা স্থাপনের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বসতে চলেছে আরও ক্যামেরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জলদাপাড়ার এডিএফও নবীকান্ত ঝাঁ জানান, “এই ট্র্যাপ ক্যামেরা থেকে প্রাপ্ত তথ্য বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পরিকল্পনায় অত্যন্ত সহায়ক হবে। এর মাধ্যমে বন্যপ্রাণীর বিভিন্ন প্রজাতির সংখ্যা, বিস্তার, চলাচলের ধরন এবং আবাস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা মিলবে।” পাশাপাশি, সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে অতিরিক্ত নজরদারির সুযোগ তৈরি হবে। সব মিলিয়ে, প্রযুক্তি-নির্ভর এই উদ্যোগ জলদাপাড়ায় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে বলে জানা যায়।





