TRENDING:

হাতির হানার ভয়ে আগেই ধান কেটেছিলেন চাষিরা, কিন্তু বৃষ্টিতে সব শেষ! চাষিদের রক্ষার্থে বড় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে প্রশাসন

Last Updated:

হাতি এবং বৃষ্টির হাত থেকে ধান রক্ষা করার জন্য ফসল পাকতেই তা কেটে রেখেছিলেন কৃষকরা। কিন্তু লাভ কিছুই হল না। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বাড়িতে জল উঠে নষ্ট হল কেটে রাখা ধান।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মাদারিহাট, অনন্যা দে: হাতি এবং বৃষ্টির হাত থেকে ধান রক্ষা করার জন্য ফসল পাকতেই তা কেটে রেখেছিলেন কৃষকরা। কিন্তু লাভ কিছুই হল না। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বাড়িতে জল উঠে নষ্ট হল কেটে রাখা ধান। বর্তমানে ধান পচে যাওয়ায় তা আগুন ধরাতে নয়তো গৃহপালিত পশুর খাওয়ারে কাজে লাগাচ্ছেন মাদারিহাটের কৃষকরা।
advertisement

কৃষিকাজ থেকে দুর্ভোগ যেন সরছে না মাদারিহাটে। এমনিতেই বনাঞ্চল সামনে থাকায় এই এলাকায় কৃষিকাজ কম হয়। খয়েরবাড়ির দিকে হয় কৃষিকাজ। হাতি ও বন্যার হাত থেকে ফসল বাঁচাতে সময়ের আগেই জমিতে কেটে রেখেছিলেন ধান।এবার একনাগাড়ে বৃষ্টিতে চাষের জমিতে জল জমে ক্ষতিগ্রস্ত বিঘার পর বিঘা জমির ধান। মাথায় হাত কৃষকদের। মাদারিহাট এলাকার কৃষিজমিতে গেলে দেখা যায় শুধুই হাহাকার। এই এলাকার  রয়েছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান। ধান পাকলে কৃষকদের দেখার আগে হাতিরা জেনে যায়। রোজ হাতির হানা হয়। এবারে দোসর হয়েছিল বৃষ্টি।

advertisement

আরও পড়ুন: পুরুলিয়ার ২ গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালকে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে রূপান্তরিত করার দাবি! দাবি তুলল খোদ IMA

View More

শীত শুরু হওয়ার আগে এমন বৃষ্টি দেখেননি এলাকার কেউ। হাতির তাণ্ডব থেকে অতিষ্ঠ হয়েই সময়ের আগে ঘরে ফসল তোলার জন্য ধান কাটা শুরু করেছিলেন কৃষকেরা। তবে একনাগাড়ে বৃষ্টিতে বৃথা হল কৃষকদের সকল চেষ্টা। বৃষ্টিতে জমিতে জমে রয়েছে প্রায় এক হাঁটু জল, আর এই জলে ভিজে নষ্ট হয়ে গিয়েছে জমি থেকে কাটা ধান। কৃষকেরা জানান, ধান চাষে যে টাকা ব্যয় হয়েছে, এবছর সেটাও উঠবে না।এমন ক্ষতির সম্মুখীন এর আগে কখনও হতে হয়নি। হাতির হাত থেকে ফসল বাঁচাতে গিয়ে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে সব ধানই নষ্ট হয়ে গেল।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
হাতির হানার ভয়ে আগেই ধান কেটেছিলেন চাষিরা, কিন্তু বৃষ্টিতে সব শেষ!
আরও দেখুন

এ বিষয়ে এলাকার কৃষক প্রসেনজিৎ রায় জানান, “ধান পাকার পর প্রতিনিয়ত হাতি এসে ধান সাবার করছিল। সেই কারণে প্রায় পাঁচ বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে রেখেছিলাম। তবে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেল, কিছুই আর বাঁচাতে পারলাম না।” প্রতি এক মণ ধানের দাম ৮০০ টাকা কেজি। প্রশাসনিক সাহায্য ছাড়া এই ক্ষতির মুখ থেকে বেরনো প্রায় অসম্ভব। যদিও, এই বিষয়ে উপকৃষি অধিকর্তা ফজলুল হক ফোনে জানিয়েছেন, “পরিস্থিতির ওপর আমরা নজর রাখছি এবং কৃষি জমির ক্ষতি ও কৃষকদের দাবি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও প্রতিনিয়ত রিপোর্ট পাঠাচ্ছি।”

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
হাতির হানার ভয়ে আগেই ধান কেটেছিলেন চাষিরা, কিন্তু বৃষ্টিতে সব শেষ! চাষিদের রক্ষার্থে বড় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে প্রশাসন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল